হরপ্পা সভ্যতার নিদর্শন গুজরাটের ধোলাভিরাকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তকমা দিল ইউনেস্কো। মঙ্গলবার এ বিষয়ে ইউনেস্কোর অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে টুইট করা হয়।
ধোলাভিরা, হরপ্পা সভ্যতার পাঁচটি বৃহত্তম নগরের মধ্যে অন্যতম। ধোলাভিরাকে সে যুগের অন্যতম উন্নত শহর বলে মনে করা হয়। এর পরিকল্পিত নগরসজ্জা, উন্নত জল সংরক্ষণ প্রক্রিয়া, আধুনিক নিকাশী ব্যবস্থা সেই সময়ের হিসাবে অকল্পনীয়। বর্তমানে ভারতে অবস্থিত সিন্ধু সভ্যতা সম্পর্কিত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান এটি।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৭-৬৮ সালে আর্কিওলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার উদ্যোগে প্রত্নতাত্ত্বিক জেপি জোশির নেতৃত্বে এই সভ্যতা আবিষ্কৃত হয়। ধোলাভিরা গুজরাটের কচ্ছ জেলার ভাচাউ তালুকের খাদিরবেটে অবস্থিত। এখান থেকে ১ কিলোমিটার দক্ষিণের এক গ্রামের গ্রামের নামে এর নামকরণ করা হয়।
২৬৫০ খ্রিস্টপূর্ব থেকে ২১০০ খ্রিস্টপূর্ব পর্যন্ত এই শহরের অস্তিত্ব ছিল বলে মনে করা হয়। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা অনুযায়ী ধোলাভিরা ৩৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে (প্রাক-হরপ্পান) এটি গঠিত হয় বলে মনে করা হয়।
কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের তথ্যানুযায়ী, ২০১৯-২০ সালে ধোলাভিরাকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের জন্য মনোনীত করে ইউনেস্কোকে পাঠানো হয়। চিনের ফুঝৌ-এ ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির ৪৪তম অধিবেশনে সেই মনোনয়ন যাচাই করা হয়।
কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রী জি কিশান রেড্ডি এই স্বীকৃতিকে ভারতের মুকুটে আরও আরেকটি রত্ন বলে উল্লেখ করেন। চলতি বছরের শুরুতে তেলঙ্গানার রামাপ্পা মন্দিরকেও ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট বলে ঘোষণা করে।
Be the first to comment