ধর্মস্থানে লাউডস্পিকার বাজানো নিয়ে সম্প্রতি সরগরম হয়েছে দেশের রাজ্য-রাজনীতি। এরই মধ্যে এবার গুজরাটের এক মন্দিরে লাউডস্পিকার ব্যবহারের ‘অপরাধে’ খুন হলেন ৪০ বছরের এক ব্যক্তি। ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬ জনকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গুজরাটের মেহসানার একটি প্রত্যন্ত গ্রামের মন্দিরে ঘটে এই নৃশংস ঘটনা। গত বুধবার সন্ধে ৭টা নাগাদ আরতির জন্য লাউডস্পিকার ব্যবহার করছিলেন জশবন্তজি ঠাকর নামের বছর চল্লিশের এক ব্যক্তি। অভিযোগ, তাঁরই সম্প্রদায়ের কয়েকজন যুবক এসে লাউডস্পিকার বন্ধ করতে বলে। কিন্তু জশবন্তজি তাতে রাজি হননি। তিনি জানান, আরতির সময় লাউডস্পিকার চলবে। এই নিয়েই দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বচসা। যা গড়ায় হাতাহাতিতে। সেই সময়ই জশবন্তজিকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তাতেই প্রাণ হারান বলে অভিযোগ।
বচসার সময় সেখানে ছিলেন জশবন্তজির ভাই অজিতও। তিনিই পুলিশকে গোটা ঘটনার কথা জানান। অজিতের কথায়, সেই সময় সাদাজি ঠাকর নামের এক ব্যক্তি সেখানে এসে লাউডস্পিকার (Loudspeaker Row) বন্ধ করতে বলেন। তাঁর সঙ্গে ছিল আরও চার-পাঁচজন। জশবন্তজি লাউডস্পিকার বন্ধ করতে রাজি না হতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিবেশ। অজিতের অভিযোগ, লাঠি দিয়ে তাঁর দাদাকে মারতে থাকেন সাদাজি ও তাঁর দলের লোকেরা। ঘটনায় গুরুতর চোট পান জশবন্তজি ও অজিত। এরপর স্থানীয়রা এসে দু’জনকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে আর চিকিৎসায় সাড়া দেননি জশবন্তজি। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় ছ’জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মাসে ধর্মীয় স্থানে লাউডস্পিকার ব্যবহার নিয়ে উত্তপ্ত হয়েছিল মহারাষ্ট্র। এমএনএস প্রধান বলেছিলেন, মসজিদ থেকে লাউডস্পিকার না সরানো হলে নমাজের সময় পালটা লাউডস্পিকারে হনুমান চালিশা পড়া হবে। সেই সব বিতর্কের মাঝেই এবার বিজেপি শাসিত রাজ্যে লাউডস্পিকার ব্যবহার করে প্রাণ গেল ব্যক্তির।
Be the first to comment