পাঁচ বছরের দলিত শিশু কন্যার যৌন নিগ্রহ ও খুনের ঘটনাকে ঘিরে উত্তাল গুরগাঁও। অভিযুক্ত পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে চলল উত্তম-মধ্যম, গণপ্রহার। উন্মত্ত জনতার হাত থেকে অভিযুক্তকে উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের ওপরও হামলা চালায় জনতা। পাথর ছুঁড়ে রাস্তা আটকে চলে বিক্ষোভ।
আবারও নৃশংস ধর্ষণের সাক্ষী গুরগাঁও। যৌন নিপীড়নের শিকার পাঁচ বছরের কন্যা সন্তান। ধর্ষণের পর তাঁকে গলা টিপে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। উত্তরপ্রদেশ থেকে গুরগাঁওয়ে আসা পরিযায়ী শ্রমিকের একরত্তিকে মেয়েকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে তারই প্রতিবেশীর দিকে। নিগৃহীতার বাবা-মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। বিহারের বাসিন্দা ২২ বছরের ওই যুবকও একজন পরিযায়ী শ্রমিক। পুলিশের দাবি, জেরায় অভিযুক্ত নিজের কুকীর্তির কথা স্বীকার করেছে। এও জানিয়েছে মদ্যপ অবস্থায় সে এই কাজ করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার দিন সকাল ১০টা নাগাদ শিশুটির বাবা মায়ের নজর এড়িয়ে ওই যুবকটি মেয়েটিকে ডাকে এবং খাবারের লোভ দেখায়। রেস্তোরাঁয় নিয়ে গিয়ে খাওয়ানোর নাম করে বাড়ির পিছনে ঝোপে নিয়ে গিয়ে মেয়েটির উপর যৌন নিগ্রহ করে এবং গলা টিপে খুন করে। কিন্তু, সেখান থেকে পালানোর আগেই শিশুটির মা তাঁকে দেখতে পেয়ে যায়। সন্দেহ হওয়ায় ঝোপের দিকে এগোতেই মেয়ের রক্তাক্ত দেহ চোখে পড়ে। নিগৃহীতার মায়ের আর্তনাদে সকলে ছুটে আসে এবং অভিযুক্তকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে। এরপরই চলে উত্তম-মধ্যম। পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা করলে তাদের উপরও চড়াও হয় জনতা।
ডিসিপি (সাউথ) ধীরাজ শেঠিয়া জানিয়েছেন, ‘মেয়েটির ঘাড়ে ও গোপনাঙ্গে আঘাত ছিল। মৃত্যুর কারণ জানতে দেহটি ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে।’ পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত শিশুটির পরিবারের পূর্বপরিচিত। তাদের বাড়িতেও নিয়মিত যাতায়াত ছিল। শিশুটির বাবা জানিয়েছেন, সাত মাস আগেই ওই এলাকায় কাজে আসে অভিযুক্ত ছেলেটি। একই পেশার সুবাদে আরও দুই দাদা ও ভাইয়ের সঙ্গে মেয়েটিকে নিয়েও বহুবার ঘুরিয়ে এনেছে সে। তাই বাচ্চাটিও তার খুব ন্যাওটা ছিল। জানা গিয়েছে, ঘটনার একদিন আগেই ছিল মেয়েটির জন্মদিন। সেদিনও জন্মদিনের ভোজে নিগৃহীতার বাড়ি গিয়েছিল অভিযুক্ত।
Be the first to comment