ডেরা সাচ্চা সওদার প্রাক্তন ম্যানেজার রণজিৎ সিংকে খুনের মামলায় রাম রহিম সিং সহ ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হল। সিবিআই-এর বিশেষ আদালতের তরফে এই সাজা শোনানো হয়েছে।
২০০২ সালে ডেরার প্রাক্তন ম্যানেজার রণজিৎ সিংকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন বিতর্কিত ধর্মগুরু। অপর যে চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়েছে তার মধ্যে রয়েছেন কৃষ্ণাণ লাল, জসবীর সিং, অবতার সিং ও শবদিল।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনানোর পাশাপাশি রাম রহিমকে ৩১ লাখ টাকার জরিমানাও করা হয়েছে। অন্য চার অভিযুক্তকেও যাবজ্জীবন সাজা শোনানোর পাশাপাশি জরিমানা করা হয়েছে। অবতার সিংকে জরিমানা করা হয়েছে ৭৫ হাজার টাকা, শবদিলকে ১.৫০ লাখ টাকার জরিমানা করা হয়েছে, কৃষ্ণাণ ও জসবীর সিংকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এই জরিমানার ৫০ শতাংশ টাকা রণজিৎ সিংয়ের পরিবারকে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এই মামলায় অপর এক অভিযুক্ত জেলের মধ্যেই মারা যায়। এই মামলায় অপর এক অভিযুক্ত ইন্দর সাই জেলের মধ্যেই মারা যায়। চলতি মাসেই সিবিআই-এর বিশেষ আদালত এই মামলায় পাঁচ অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল।
গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের অনুগামী ছিলেন রঞ্জিৎ সিং। কিন্তু রাম রহিমের বিরুদ্ধে দু’জন শিষ্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় রঞ্জিৎ সিংয়ের বিশ্বাসে ধাক্কা লেগেছিল। তাঁর সঙ্গে মতপার্থক্য হয় ডেরা প্রধানের সঙ্গে। এরপরে ২০০২ সালের ১০ জুলাই কুরুক্ষেত্রের খানপুর কোলিয়া গ্রামের একটি মাঠ থেকে উদ্ধার হয় রঞ্জিৎ সিংয়ের দেহ। তাঁর ছেলে জগসীর সিং এরপরেই অভিযোগ রুজু করেন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে নিজের আশ্রমের দু’জন শিষ্যাকে ধর্ষণের অপরাধে ১০ বছর ১০ বছর করে ২০ বছর জেল খাটছেন রাম রহিম। ২০১৭ সালে ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল বিতর্কিত এই ধর্মগুরুকে। এছাড়া এক সাংবাদিককে খুনের দায়েও দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে শিষ্যাদের ধর্ষণের ঘটনায় রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করার পর প্রবল অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছিল। এমনকি অশান্তির জেরে মৃত্যু হয়েছিল ৩৬ জনের। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এদিন তাই অশান্তির আশঙ্কায় পঞ্চকুলায় সজাগ ছিল প্রশাসন। জারি ছিল ১৪৪ ধারা।
Be the first to comment