জলাতঙ্কের প্রতিষেধক নিতে হাবরা হাসপাতালে লম্বা লাইন; কেন জানেন? পড়ুন!

Spread the love
যে গরুর দুধে সিন্নি তৈরি হয়েছে সে গরু নাকি জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত। এমন খবর রটতেই আতঙ্ক তৈরি হয়েছে গোটা গ্রামে। হাসপাতালে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক নিতেও ছুটেছেন অনেকে।
ঘটনাটা হাবড়া থানার পৃথিবা পঞ্চায়েতের ঘোষ পাড়া এলাকার। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ১৭ নভেম্বর বড়ো ঠাকুরের পুজ উপলক্ষে গরুর দুধ দিয়ে সিন্নি তৈরি হয়েছিল এলাকায়। বাসিন্দারাই সকলেই খেয়েছিলেন সেই প্রসাদ। পরদিন গ্রামে রটে যায় যে গরুর দুধ দিয়ে সিন্নি তৈরি হয়েছে তার আচরণ নাকি দিনকয়েক ধরেই বেশ অন্যরকম। এক বাসিন্দার কথায়, জলাতঙ্ক রোগ হয়েছিল ওই গরুর। তার দুধের সিন্নি খেয়ে তাই গ্রামবাসীদেরও ওই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
শনিবার হাবড়া হাসপাতালে ভিড় জমান গ্রামবাসীরা। প্রতিষেধক নিতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। গ্রামের বাসিন্দা প্রীতম ঘোষ, সুবীর ঘোষ, শুভ্র ঘোষ সকলেরই দাবি জলাতঙ্কের আশঙ্কায় ভুগছে গোটা গ্রাম। পুজোর দিন গ্রামের প্রায় সকলেই সিন্নি খেয়েছিলেন। তাই সকলেই আতঙ্কিত।
তবে, আতঙ্কের কিছু নেই বলেই গ্রামবাসীদের আশ্বস্ত করেছেন হাসপাতাল সুপার শঙ্কর ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন প্রয়োজনে সরকারি ক্যাম্প করার ব্যবস্থা হয়েছে। তাঁর কথায়, “গরুর লালা যদি দুধে মিশত তাহলে রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা ছিল। সাধারণত জলাতঙ্কের ভাইরাল স্নায়ুর মাধ্যমে বাহিত হয়, এ ক্ষেত্রে গ্রামবাসীরা যেহেতু দুধের সিন্নি খেয়েছেন তাই রোগ ছড়ানোর কোনও আশঙ্কাই নেই।” যে গরুর জলাতঙ্ক হয়েছে বলে ধারণা গ্রামবাসীদের সেই গরুটিকে পরীক্ষা করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এ দিকে গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক এতটাই বেড়ে গেছে, যে গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান হাসপাতাল সুপারকে অবিলম্বে স্বাস্থ্য ক্যাম্প করার নির্দেশ দিয়েছেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*