পড়াশোনা, অফিসের কাজে কিংবা ফেসবুক-ইউটিউবে একটু ঘাঁটাঘাঁটি, এসব নিয়ে আজকাল অনেকেই গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন। রাতজাগা এসব মানুষগুলো দিনের শেষ খাবারটি সাধারণত বেশ দেরিতে খান। এক্ষেত্রে অনেকেরই মনে হতে পারে—খেলামই না হয় একটু দেরি করে, ক্ষতি কী? বিষয়টি কিন্তু মোটেও হেলাফেলার নয়।
রাতের খাবার ও সময় নিয়ে খুবই সচেতন থাকতে বলেছেন চিকিৎসাবিদরা।রাতে অতিরিক্ত দেরিতে এবং সুনির্দিষ্ট কিছু খাবার খেলে তা নানা স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য দায়ী বলে জানিয়েছে বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেছেন, দিনে বিশেষ করে দুপুর এবং সন্ধ্যার নাস্তায় ক্যালরি গ্রহণে ভারসাম্য রাখতে হয়। এতে কাজ করার শক্তি বাড়ে, ক্ষুধা কম লাগে এবং সর্বোপরি ভালো থাকা সম্ভব হয়। তা না হলে স্বাস্থ্যক্ষতি অনিবার্য।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, রাতের খাবার দেরিতে খেতে চাইলে সমস্যা নেই। তবে সেক্ষেত্রে পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার বিশেষ করে শস্যদানা, ফলমূল এবং শাকসবজি প্রভৃতি নির্বাচন করা উচিত।রাতে দেরিতে চর্বিযুক্ত এবং বেশি মসলাযুক্ত খাবার খেলে শরীরে কী প্রভাব পড়ে তা জানিয়ে দিচ্ছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট লাইফস্ট্রং ডটকম।
ঘুমের সমস্যা-সন্ধ্যায় ক্ষুধা পেলে যদি পুষ্টিকর নাস্তা খেয়ে নেন, সেটি আপনাকে রাতে ভালো ঘুমাতে সাহায্য করবে। রাতে ক্ষুধা লাগলে দুধের সঙ্গে ওটমিল খেয়ে নিন। তাতেও আপনার ভালো ঘুম আসবে।
তবে রাতে ভারী খাবার এবং অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার পরিহার করুন। একই সঙ্গে রাতে তরলজাতীয় খাবারও পরিহার করা উচিত। তা না হলে ঘুমের সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া চকলেট, কফি, পানীয় জাতীয় খাবারও রাতের ঘুমে বিঘ্ন ঘটায়। এর ফলে সারাদিন ঝিমুনিতেই কেটে যায়।
Be the first to comment