বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানি হচ্ছে না আজ, অভিযুক্তদের বাড়ির সামনে সিসিটিভি বসিয়ে চলবে নজরদারি

Spread the love

আজও হাইকোর্টে নারদ মামলার নিষ্পত্তি হল না। গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ দেওয়া হলেও মামলা গেল বৃহত্তর বেঞ্চে। তবে আজ, শুক্রবার বৃহত্তর বেঞ্চে কোনও শুনানি হবে না। মামলা তড়িঘড়ি নিষ্পত্তি করার আবেদন জানানো হয়েছিল অভিযুক্তদের আইনজীবীর তরফে। কিন্তু এ দিন রায়ের কপি হাতে এসেছে অনেক দেরিতে ফলে, আর কোনও শুনানি হওয়ার সময় নেই। বৃহত্তর বেঞ্চে কোন কোন আইনজীবী এই মামলা শুনবেন, তা এখনও ঠিক হয়নি।

হাইকোর্টের রায়ে জানানো হয়েছে, গৃহবন্দি থাকলেও কড়া নজরদারি চলবে নারদ-কাণ্ডে ধৃত চার নেতার ওপর। তাঁদের বাড়ির সামনে সিসিটিভি লাগাতে বলা হয়েছে জেল কর্তৃপক্ষকে। কারা তাঁদের সঙ্গে বাড়িতে দেখা করতে আসছেন, তা ওই সিসিটিভি থেকে খতিয়ে দেখা হবে। দুই মন্ত্রী অর্থাৎ পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বাড়িতে বসেই প্রশাসনিক কাজ করবেন বলে জানিয়েছে আদালত। কিন্তু রায়ে বলা হয়েছে, কোনও সরকারি আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না তাঁরা। ফাইল পাঠাতে হবে অনলাইনে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মিটিং করতে হবে। যদি কেউ দেখা করতে যায়, তাহলে তাঁর নাম ও কেন যাচ্ছেন, সেই সব তথ্য নথিভুক্ত করতে হবে।

গত ১৯ তারিখে যে রায় দেওয়া হয়েছিল সেখানেও হাউজ অ্যারেস্টের কথা বলা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী রানা মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘১৯ তারিখেই যখন গৃহবন্দি থাকার কথা বলা হয়েছিল তাহলে কেন সেই দিন ওই রায়ের কপি আপলোড হল না? আপলোড হলে অতিরিক্ত দু’দিন সংশোধনাগারে কাটাতে হত না অভিযুক্তদের। ১৯ মে এবং ২১ মে দু’দিনের রায়ের কপি ১০ মিনিটের ব্যবধানে আপলোড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী।

এ দিন হেভিওয়েটদের জামিন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বিষয়ে মতপার্থক্য হয় বিচারপতিদের। কোনও মামলার ক্ষেত্রে ডিভিশন বেঞ্চে একজন বিচারপতি অন্য মত পোষণ করলে, মামলা বৃহত্তর বেঞ্চে যায়। সেই বেঞ্চ অবশ্য দুই কিংবা তিন জন বিচারপতির হবে, এমন কোনও কথা নেই। নিয়ম মোতাবেক, কেবল একজন বিচারপতিকে দিয়েও তৈরি হতে পারে বৃহত্তর বেঞ্চ। হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল তাঁদের গৃহবন্দি রাখার পক্ষে ছিলেন, অপর বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের জামিন দেওয়ার পক্ষে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশ, দুই বিচারপতির মতপার্থক্য হওয়ায় মামলা বৃহত্তর বেঞ্চে যাবে। এখানে নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হেভিওয়েটরা গৃহবন্দি থাকবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*