রাজ্যে গরম কমলেও মেয়াদ বেড়েছে সরকারি স্কুলে গরমের ছুটির। প্রায় দু’মাস ধরে বন্ধ স্কুল। এই ছুটির মেয়াদ কি আরও বাড়বে, রাজ্যের কাছে জানতে চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। রাজ্যের আইনজীবীর জবাব, সবই নির্ভর করছে আবহাওয়ার উপর। উল্লেখ্য, স্কুলে গরমের ছুটি বাড়ানো নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয়েছে আদালতে।
করোনা কাঁটায় দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল স্কুল। চলতি বছরে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। কিন্তু এপ্রিলের শেষ থেকে প্রবল গরমের জেরে ফের স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। প্রথম পর্যায়ে ২ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে গরম আরও বাড়ায় সেই ছুটির মেয়াদ আরও বাড়ানো হয়। রাজ্য জানায়, ২৬ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে স্কুল। অথচ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বর্যা ঢুকে গিয়েছে। তাপমাত্রাও কমেছে বেশকিছুটা। তাও কেন স্কুলের ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল।
মামলাকারীর বক্তব্য, আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে এখন বর্ষা এসে গিয়েছে। এখন তাপমাত্রা পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়ার উপরে ভিত্তি করে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল, সেই আবহাওয়া বুলেটিনেরই এই মুহূর্তে কোনও ভিত্তি নেই। তাও ২৬ জুন পর্যন্ত গরমের ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হল কেন? তাই এই বিজ্ঞপ্তি খারিজের আরজি জানান মামলাকারীর আইনজীবী।
মামলাকারীর অভিযোগ, এই ছুটিতে মিড ডে মিল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পড়ুয়ারা। যদিও এই অভিযোগ সত্য নয়। স্কুল ছুটি থাকলেও যাতে পড়ুয়ারা মিড ডে মিল পায়, তার ব্যবস্থা আগেই করেছে রাজ্য সরকার।
জবাবে রাজ্যের আইনজীবী মামলাকারীকে নিয়েই প্রশ্ন তোলেন। তাঁর প্রশ্ন, মামলাটি করেছে JIV মৈত্রী ট্রাস্ট। এরা কী করে? রাজ্যবাসীর সঙ্গে তাদের কী সম্পর্ক? একইসঙ্গে তিনি জানান, মিড ডে মিল বন্ধ হয়নি। সেই সময় একাধিক জেলায় তাপমাত্রা ছিল ৪১-৪৩ ডিগ্রি। তাই পড়ুয়াদের কথা ভেবে স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এরপরই হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব প্রশ্ন করেন, আপনারা কি ছুটি আর বাড়াতে চান? জবাবে রাজ্যের আইনজীবী জানান, সব নির্ভর করছে আবহাওয়ার উপর। যদি পরিস্থিতি ভাল হয় তার উপর নির্ভর করবে ছুটির মেয়াদ।
Be the first to comment