রামনবমী মিছিলকে কেন্দ্র করে হাওড়ায় ব্যাপক অশান্তির ঘটনায় এবার তদন্ত নামছে রাজ্য পুলিশের সিআইডি। সেদিন কি ঘটেছিল এবং কিভাবে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলো, সেদিন বন্দুক নিয়ে মিছিলে কেউ কীভাবে অংশ নিল, কারা তারা, কারা অশান্তির মূলে, অশান্তি আটকাতে পুলিশই বা কী ভূমিকা নেয়, কী ব্যবস্থা ছিল পুলিশের তরফে, তা খতিয়ে দেখবে সিআইডি। সিআইডির উচ্চপদস্থ কর্তারাও ঘটনাস্থলে যাবেন খতিয়ে দেখতে।
এদিকে বৃহস্পতিবার এর ঘটনার পর আজ শনিবারও থমথমে অবস্থা হাওড়ার শিবপুর এলাকায়। হাওড়া এবং শিবপুর থানা এলাকায় ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। এলাকাবাসীকে শান্ত থাকার আবেদন জানিয়ে মাইকিং শুরু করেছে প্রশাসন। কোনরকম জমায়েত তৈরি হলে তা হটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। হাওড়া শহরের বেশ কয়েকটি পিনকোডে ইন্টারনেট ব্যবহারের উপর নিয়ন্ত্রণ জারি করা হয়েছে। হাওড়ার জেলাশাসকের দফতর থেকে জারি করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তি। উস্কানিমূলক বার্তা এবং ভিডিওর ক্ষেত্রে টেলিকম, ইন্টারনেট এবং কেবল পরিষেবা প্রদানকারীদের নোটিস জারি করেছেন হাওড়ার জেলাশাসক মুক্তা আর্য। সব মিলিয়ে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত থাকতে একদিকে যেমন কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে প্রশাসন। অন্যদিকে এই অশান্তির কালপ্রিটদের খুঁজে বের করতে কোমর করছে রাজ্য পুলিশের সিআইডি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুরে ফের অশান্ত হয়েছিল শিবপুর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে, জায়গায় জায়গায় মানব-ঢাল তৈরি করে পুলিশ। মোতায়েন করা হয় বিশাল বাহিনী। বিভিন্ন জায়গায় জমায়েত হঠিয়ে দেয় পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকে জিটি রোডের দুধারে দোকান-পাট। শিবপুরের কাজিপাড়া থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত পুরো এলাকায়, বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল।হাওড়া সিটি পুলিশের সিপি-র নেতৃত্বে গলিতে গলিতে অভিযান চালায় পুলিশ। দফায় দফায় লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যায় তারা। শেষ অবধি পৌনে পাঁচটা নাগাদ শুরু হয় যান চলাচল।
Be the first to comment