দুর্গাপুজো মিটতেই ফের বেলাগাম সংক্রমণ রাজ্যে। কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া শহরেও বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। তাই সংক্রমণ ঠেকাতে আগাম প্রস্তুতি নিতে শুরু করল হাওড়া পুর নিগম। আবার আগের মতো সংক্রমিত এলাকাগুলি শনাক্ত করে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করা কথা যেমন ভেবেছে পুরসভা। তেমনই সপ্তাহে একদিন বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল হাওড়া পুর নিগম। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানালেন হাওড়া পুর নিগমের প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী।
হাওড়া পুর নিগম সূত্রে খবর, বাজার অঞ্চলগুলি থেকে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ বেশি ছড়ায়। তাই আগের নিয়ম মেনেই মঙ্গলা হাট সহ হাওড়া পুর এলাকার বাজারগুলি সপ্তাহে একদিন বন্ধ থাকবে। যেমন- প্রতি সোমবার শিবপুর, নিশ্চিন্দা এবং সাঁকরাইল থানার বাজার বন্ধ থাকবে। প্রতি মঙ্গলবার বন্ধ থাকবে বেলুড় ও সাঁতরাগাছি থানার বাজার।
বুধবার গোলাবাড়ি, জগাছা এবং চ্যাটার্জিহাট থানা এলাকার বাজার বন্ধ থাকবে। বৃহস্পতিবার হাওড়া, দাশনগর, ডোমজুড় ও বালি থানা এলাকার দোকান-বাজার বন্ধ থাকবে। শুক্রবার বন্ধ থাকবে মালিপাঁচঘড়া ও লিলুয়া থানার বাজারগুলি। আর শনিবার ব্যাঁটরা এবং বি-গার্ডেন থানা এলাকার বাজার বন্ধ থাকবে।
সপ্তাহে একদিন বাজার বন্ধ রাখার পাশাপাশি করোনাবিধি মেনে চলার উপরেও জোর দিচ্ছেন হাওড়ার পুর প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘শীঘ্রই বাজার কমিটির সদস্যদের ডাকা হবে। সকল ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহারের জন্য সচেতন করার বিষয়ে তাঁদের বলা হবে।
এছাড়া পুর নিগম, স্বাস্থ্য দফতর, জেলা প্রশাসন ও সিটি পুলিশের যে টিম গঠন করা হয়েছে, সেই টিমের সদস্যরা বিভিন্ন বাজার এলাকা ঘুরে দেখবেন, করোনাবিধি ঠিকমতো মানা হচ্ছে কিনা। এছাড়া বাজারগুলিতে ঢোকার মুখে স্যানিটাইজারের গেট বসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি স্যানিটাইজেশন করার বড় গাড়িগুলি দিয়ে বিভিন্ন বাজার অঞ্চলে স্যানিটাইজেশন করানো হবে।’
বাজারের পাশাপাশি সংক্রমিত এলাকাগুলি শনাক্ত করার উপরেও জোর দিচ্ছেন পুর প্রশাসক। তিনি বলেন, ‘উৎসবের মরশুমে কোভিড আগের থেকে বেড়েছে। তাই সংক্রমিত অঞ্চলগুলিকে চিহ্নিত করে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হবে। এছাড়া ওই এলাকাগুলিতে করোনা পরীক্ষার হার ও টিকাকরণ শিবির বাড়ানো হবে।’ ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে সহযোগিতার উপরেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন। হাওড়া মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই চরণ মণ্ডল বলেন, ‘জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা কয়েকদিন আগে ৬০ থেকে নেমে ৫৫ হয়েছিল। আমরা সব সময় নজর রাখছি।’
Be the first to comment