একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সবথেকে উল্লেখ্যযোগ্য ঘটনা ঘটেছিল শীতলকুচিতে। চতুর্থ দফা ভোটের দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় চার জনের। এই ঘটনায় এবার রাজ্য পুলিশের ডিজি পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সঠিক তদন্ত হয়নি বলে দাবি জানিয়ে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে বলেছে মানবাধিকার কমিশন।
ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্তে নেমে একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিককে জেরা করেছে সিআইডি। তলব করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকদের। কেন গুলি চালাতে হয়েছে সেই বিষয়ে জানতে চেয়ে বাহিনীর জওয়ানদের তলব করা হয়েছে। যদিও এখনও তাঁরা হাজিরা দেননি। এবার পুলিশকে এই ঘটনা নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এক দিনে যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করে তদন্ত শুরু হয়েছে, তার মধ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ডিজিকে নির্দেশ দেওয়ার বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই শীতলকুচি-কাণ্ডের পুনর্নির্মাণ করতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল সিআইডির আধিকারিকরা। জোড়পাটকি স্কুল এলাকায় যায় সিআইডির চার সদস্যের প্রতিনিধি দল যায়। দলের নেতৃত্বে ছিলেন সিআইডির ডিআইজি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তদন্তকারী আধিকারিকরাই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং সেদিনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেন। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও ভোটের ফল প্রকাশের পর শীতলকুচিতে গিয়েছিলেন।
বিধানসভা ভোটে ভোট চলাকালীন শীতলকুচি বিধানসভার অন্তর্গত মাথাভাঙা ব্লকের জোরপাটকিতে বুথে অশান্তির সময় সিআইএসএফ গুলি চালায়। ওই ঘটনায় ৪ জন নিহত হন। আহত হন বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী। ময়না তদন্তের রিপোর্ট বলছে, নিহতদের মধ্যে ৩ জনের মৃত্যুর কারণ বুলেটের আঘাত।
তৃণমূলের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, বিজেপির প্ররোচনাতেই গুলি চালিয়েছে সিআইএসএফ। অন্যদিকে, বিজেপি এই ঘটনায় মমতার বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক কথা বলার অভিযোগ তোলেন।
Be the first to comment