মুর্শিদাবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এলো। যা তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলো। এক বিধায়ককে আর এক বিধায়ক রীতিমতো হুমকি দিয়ে বসল। সুতরাং অন্তর্দ্বন্দ্ব আর নীচুস্তরে রইল না। একেবারে শীর্ষস্তরে পৌঁছে গেল। দেখা গেল, প্রকাশ্য সভায় রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরীকে হুমকি দিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। এমনকী হুমায়ুনের বিরুদ্ধে রীতিমতো দলের শীর্ষস্তরে নালিশ ঠুকলেন রবিউল।
ঠিক কী ঘটেছে? তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার শক্তিপুরে একটি সভা ছিল। সেখানে বক্তা হিসাবে উপস্থিত হয়েছিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবির। অভিযোগ, ওই সভা থেকে রবিউলের উদ্দেশ্যে হুমকি দেন তিনি। সভা থেকে হুমায়ুনকে বলেন, ‘খুব সাবধান রবিউল চৌধুরি। আমার সঙ্গে পাঙ্গা নিও না। তাহলে হাড়গোড় এক করে দেব।’ সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। আর সেই ভিডিও নিয়ে আসরে নেমেছে রবিউল। এমনকী হুমায়ুনের শান্তির দাবিও করেছেন।
উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদে হুমায়ুন–রবিউল অন্তর্দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। ২০১১ সালে কংগ্রেসের টিকিটে জিতে রেজিনগরের বিধায়ক হন হুমায়ুন কবির। তারপর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। তখন বিধায়ক পদ ছেড়ে দেন। এরপর উপনির্বাচনে রবিউল আলম চৌধুরীর কাছে পরাজিত হন হুমায়ুন কবীর। কংগ্রেসের টিকিটে জেতেন রবিউল। ২০১৬ সালের নির্বাচনেও কংগ্রেসের টিকিটে জেতেন তিনি। তারপর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন।
একুশের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে ভরতপুর থেকে জিতে বিধায়ক হন হুমায়ুন কবির। আর রেজিনগর থেকে জিতে বিধায়ক হন রবিউল আলম চৌধুরী। সুতরাং দু’জনেই তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। আর তাঁদের এই আকচা–আকচিতে সরগরম মুর্শিদাবাদ।
Be the first to comment