রোজদিন ডেস্ক :- ‘আমি দলের চেয়ারপার্সন, আমার কথাই শেষ কথা।’ সোমবার বিধানসভায় তৃণমূলের পরিষদীয় দলের বৈঠকে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি দলের যাবতীয় দায়িত্ব তুলে দিচ্ছেন অভিষেককে? এই নিয়ে বিগত বেশ কিছুদিন ধরে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। বলা ভালো ‘অভিষেক পন্থী’ নেতারা ক্রমেই মুখ্যমন্ত্রী, উপ মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি তুলেছিলেন ‘সেনাপতি’কে নিয়ে। কিন্তু তাঁদের সেই ইচ্ছেই জল ঢেলে দিলেন স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো। সোমবার বিধানসভায় পরিষদীয় দলের বৈঠকে সাফ জানালেন, ‘আমি দলের চেয়ারপার্সন, আমার কথাই শেষ কথা।’
এদিনের বৈঠকে মমতা আরও বলেন, ‘ছাত্র ও যুব সংগঠন আমি সাজিয়ে দেব। এছাড়াও তৃণমূলের অনেক নেতা মন্ত্রীর মধ্যে যেমন খুশি সাজো প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। অনেকেই আলটপকা অনেক কথা বলে দিচ্ছেন। তাতে বিতর্ক তৈরি হচ্ছে। সকলকে মেপে কথা বলতে হবে। যা ইচ্ছা যখন ইচ্ছা মিডিয়ার সামনে মুখ খুললে চলবে না। বেচাল দেখলে দল ব্যবস্থা নেবে। কারও কোনও অসুবিধা থাকলে তাঁরা যেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস বা দেবাশিস কুমারকে জানান।’ এখানেই না থেমে তিনি তিনি অভিষেকের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত নেতা নারায়ণ গোস্বামীকে কার্যত ধমক দিয়ে বলেন, ‘তোমাকে আর এদিক ওদিক যেতে হবে না। নিজের এলাকায় নজর দাও।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কাজকর্ম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। এদিন তৃণমূল সুপ্রিমোর গলায় উঠে এল একই সুর। তাহলে কি প্রবীণদের ওপর ভরসা করেই ছাব্বিশের বিধানসভার আগেই দলের ক্ষত মেরামত করতে চাইছেন মমতা? ওয়াকিবহাল তেমনটাই মনে করছে।
Be the first to comment