রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার পাশাপাশি, মোদি সরকারের খামখেয়ালি নীতির বিরুদ্ধে সরব হল দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার পাশাপাশি এবার লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে সরব হলো দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ। একের পর এক কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থাগুলিকে বন্ধ করে দেওয়া, রুগ্ন করে দেওয়া, হেড অফিস তুলে দেওয়া, বা সরিয়ে দেওয়া, ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠানগুলিকে ছোট করে দেওয়া, শ্রমিক কর্মচারীদের বেকার কর্মহীন করে দেওয়া, ঠিকাকর্মীদের বিরুদ্ধে আইন কানুনের কোন তোয়াক্কা না করা, ঐতিহ্যশালী বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি কে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়া, বন্দর গুলিকে শেষ করে দেওয়া, রাজ্য সরকার উদ্যোগ নিলেও তাকে পিএসইউ চালানোর অনুমতি না দেওয়া ইত্যাদির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা ও কর্মচারী দের বঞ্চনার পাশাপাশি সামগ্রিকভাবে বাংলাকে বঞ্চনা করা ও অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল করে দেওয়া বেরোজগার বাড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রেও কেন্দ্রীয় সরকার খুবই সক্রিয়। দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ কেন্দ্রীয় সরকারের এই তুঘলকি বিবেচনা ও কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে। তাই লাভজনক ঐতিহ্যশালী সংস্থাগুলিকে বাঁচাতে সর্বোপরি বাংলাকে বাঁচাতে কর্মচারীদের বাঁচাতে সক্রিয় ভূমিকা নিতে চায় এই অরাজনৈতিক মঞ্চটি। এদিন, অর্থাৎ, ১৭ জানুয়ারি কলকাতা প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক বৈঠক করে দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ কেন্দ্রীয় সরকারি নীতির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তাঁরা। এদিনের বৈঠকে ইস্টার্ন রেলওয়ে, মেট্রো রেলওয়ে থেকে শুরু করে আইআইটি, আইএসআই-এর মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

রাজ্যের প্রাক্তন শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু, শ্রমিক সংগঠনের নেত্রী দোলা সেন-সহ এই সমস্ত শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা কেন্দ্রের খামখেয়ালি নীতি বন্ধ না করলে পরবর্তীকালে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবে বলেই জানান তাঁরা।
সংগঠনের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে একধারে যেমন কেন্দ্রীয় সরকারে বঞ্চনার মুখে পড়া এই রাজ্যের কথা উঠে আসে। তেমনই রেল থেকে সেইল, এলআইসি থেকে হলদিয়া বা কলকাতা বন্দরের পরিকাঠামোগত সমস্যার কথাও উঠে আসে। এবং এই সমস্ত সংগঠনগুলির কর্মীরাও যে বঞ্চনার মুখে পড়ছেন সে কথা তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি, কর্মী স্বাচ্ছন্দের দিকে যে কেন্দ্র সরকারের একেবারেই খেয়াল নেই, কেন্দ্রীয় সরকার নিজের তৈরি করা শ্রম আইনই যে মানছে না সে কথাও উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য, এই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে বারংবার সরব হয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের বিরোধী দলগুলো বিএসএনএল-এ কর্মীদের অসন্তোষ থেকে শুরু করে এলআইসি বিপুল শেয়ার আদানির কাছে বিক্রি করে দেওয়ার বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছে। গত বছর লোকসভায় এই বিষয়গুলো নিয়ে বারবার লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী প্রতিবাদের ঝড় তুলেছেন। এবার একই পথ হাঁটতে চলেছে এই দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*