নবান্নের অর্থ কমিশনের বৈঠকে কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে সরব হলেন মমতা

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক :-  একের পর এক প্রকল্পের টাকা দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। যার জন্য রাজ্য সরকারকে তা বহন করতে হয়েছে। সেটা ১০০ দিনের কাজের প্রাপ্য থেকে শুরু করে আবাস যোজনার টাকা। কোনও টাকাই দিচ্ছে না এনডিএ সরকার। কেন্দ্রীয় অর্থ কমিশনের প্রতিনিধিদের সামনে এই ভাষাতেই কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগে সরব হলেন রাজ্যর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার নবান্নে ষোড়শ অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান অরবিন্দ পানগড়িয়ার নেতৃত্বে আসা কেন্দ্রীয় অর্থ কমিশনের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বাংলার রাজনৈতিক দলগুলি। সেখানেই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ নিয়ে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‌জিএসটি বাবদ রাজ্য থেকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব কর নিয়ে গেলেও বাংলার প্রাপ্য অর্থ দেয় না নয়াদিল্লি।’‌
প্রসঙ্গত, এর আগে কেন্দ্রের থেকে বকেয়া টাকা উদ্ধারের জন্য বারবার চিঠি লেখা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীকে। তাতে সারা না পাওয়ায় দিল্লিতে গিয়ে দেখাও পর্যন্ত করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। ১০০ দিনের কাজের সঙ্গে যুক্তদের চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয় নয়াদিল্লিতে। তাও বকেয়া তিন বছরের টাকা আসেনি। সেটা দিতে হয় রাজ্য সরকারকে। আবাস যোজনার টাকা এই মাসের মধ্যে দেবে রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য মিশনের টাকা, সর্বশিক্ষা মিশনের টাকা, জলজীবন মিশনের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকেই এভাবেই বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী এতদিন কেন্দ্র–রাজ্যের শেয়ার ছিল ৪১:৫৯ শতাংশ। ষোড়শ অর্থ কমিশনের কাছে এই শেয়ার ৫০:৫০ করার দাবি জানান মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী কেন্দ্রের কাছ থেকে বকেয়া বাবদ রাজ্যের প্রাপ্য দ্রুত মেটানোর দাবি জানান মুখ্যমন্ত্রী বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর।
জানা যাচ্ছে এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যে নানা দুর্নীতি আছে। তাদের টাকা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বাংলার টাকা দেওয়া হচ্ছে না। যেখানে বাংলা একের পর এক প্রকল্পে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। আর সেই শংসাপত্র দিয়েছে খোদ কেন্দ্রীয় সরকার। তাহলে বকেয়া টাকা মিলছে না কেন?‌
জানা যায় এদিনের বৈঠকের সমস্ত নোট নেয় কমিশনের প্রতিনিধিরা। যদিও এই ব্যাপারে তাঁরা কোনো আশ্বাস দেয় নি।
উল্লেখ্য, এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। ২০১১ সালের বাম জমানার পতনের পর এই প্রথম নবান্নে এলেন সেলিম। মুখোমুখি দেখা হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। কিন্তু সূত্রের খবর কোনও কথা হয় নি তাঁদের মধ্যে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*