রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- এক দেশ, এক ভোট সংক্রান্ত দু’টি বিল নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির প্রথম বৈঠক (জেপিসি) হল বুধবার। আইন মন্ত্রকের তরফে এই বৈঠকে একটি প্রেজেন্টেশন দিয়ে আইনের খুঁটিনাটি বিষয়গুলি জেপিসি’র সদস্যদের সামনে তুলে ধরা হয়।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আইন মন্ত্রকের আধিকারিকরা এই প্রেজেন্টেশনে দেশের সর্বত্র একই সঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের সুবিধাগুলি ব্যাখ্যা করেন। একদিকে বিজেপি সদস্যরা এই ‘এক দেশ, এক ভোট’ বিলের তুমুল প্রশংসা করেন। তাঁদের দাবি, এই প্রস্তাব দেশের স্বার্থে। অন্যদিকে, বিরোধী দলের সাংসদরা এনিয়ে প্রশ্ন করেন। যৌথ সংসদীয় কমিটির এক কংগ্রেস সদস্য এই বিলের বিরোধিতা করে জানান, এটা সংবিধানের ভিত্তির বিপরীত। তৃণমূলের এক সাংসদ মনে করেন, এই বিল মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করবে।
৩৯ জন সদস্যের এই যৌথ সংসদীয় কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন বিজেপি সাংসদ পিপি চৌধরী। তিনি আইন মন্ত্রকের প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী। কংগ্রেস-সহ একাধিক রাজনৈতিক দলের সাংসদরা এই কমিটিতে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম কংগ্রেসের প্রিয়াঙ্কা গান্ধি, জেডি(ইউ) সাংসদ সঞ্জয় ঝা, শিবসেনা সাংসদ শ্রীকান্ত শিন্ডে, আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং, তৃণমূল কংগ্রেসের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। বিজেপির তরফে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর থেকে শুরু করে প্রয়াত বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের কন্যা বাঁশুরী স্বরাজও রয়েছেন কমিটিতে।
প্রসঙ্গত, গত বছর নভেম্বর-ডিসেম্বরে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে কনস্টিটিউশন বিল (১২৯তম সংশোধন) এবং ইউনিয়ন টেরিটরিস ল’স (সংশোধন) বিল লোকসভায় পেশ করা হয়। এরপর বিলটি পর্যালোচনার জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন করে সেখানে পাঠানো হয়। আগামী বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনে এই বিল নিয়ে রিপোর্ট পেশ করতে হবে কমিটিকে।
উল্লেখ্য, প্রথমে এই কমিটিতে ৩১ জন সদস্য থাকলেও পরে তা বাড়িয়ে ৩৯ জন করা হয়। এর মধ্যে আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দল ‘এক দেশ, এক ভোট’ সংক্রান্ত দু’টি বিল পর্যালোচনায় উৎসাহ প্রকাশ করায় কমিটিতে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়। এই কমিটিতে লোকসভার ২৭ জন এবং রাজ্যসভার ১২ জন সাংসদ রয়েছেন।
VIDEO | Joint Parliamentary Committee, which is scrutinising one-nation-one-election bills, member Sambit Patra (@sambitswaraj) leaving after attending the first meeting with trolley bag carrying nearly 18,000 pages of presentation made by the Ministry of Law and Justice.… pic.twitter.com/t9Miwsn0bT
— Press Trust of India (@PTI_News) January 8, 2025
Be the first to comment