২০২৪-এর ভোটেও ইভিএম হ্যাক করতে পারে বিজেপি। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন তৃণমূল সভানেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়টি নিয়ে INDIA জোটের পরবর্তী বৈঠকে আলোচনা হবে বলেও জানান মমতা। একইসঙ্গে আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী জোটের জয়ের বিষয় আশাবাদী তৃণমূল সুপ্রিমো।
দিল্লি অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক সব্যসাচী দাস তাঁর গবেষণাপত্রে দাবি করেন, ২০১৯ সালে ভোটে কারচুপি করেই সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। না হলে লোকসভা ভোটের ফলাফল অন্যরকম হতে পারত। এই প্রসঙ্গে এদিন তৃণমূল সভানেত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “EVM হ্যাক করার নানা পরিকল্পনা হচ্ছে। ‘INDIA’র পরবর্তী বৈঠকে এনিয়ে আলোচনা হবে।” তিনি জানান, পরবর্তী বৈঠকের দিনক্ষণ এখনও স্থির হয়নি। তবে সেই বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়ে বিরোধী জোটে কথা হবে। মমতা বলেন, “ওরা ইলেকট্রনিক মেশিন হ্যাক করার নানা চেষ্টা করছে। আমাদের কাছেও এসেছে। কিছু প্রমাণ এসেছে, কিছু খুঁজছি। INDIA অ্যালায়েন্সের পরের মিটিংয়ে এই নিয়ে আলোচনা হবে।”
তবে একইসঙ্গে INDIA-র জয়ের বিষয় আশাবাদী মমতা। তাঁর মতে, “INDIA-ই জিতবে, দেশকে বাঁচাবে।” তৃণমূল নেত্রীর কথায়, “INDIA আমাদের দেশ। আমাদের এই বিরোধীদের জোট সেই মাতৃভূমির পক্ষে, মাতৃভূমির জন্য। দেশকে বাঁচাতে এই জোট। এখন ভারতের সর্বত্র আমাদের প্রতিনিধি রয়েছেন। হ্যাঁ, দিল্লিই আমাদের লক্ষ্য। আমরাই দিল্লিতে সরকার গঠন করব, তা হবে ভারত সরকার। এসব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে তো। আমাদের জোটের পরের বৈঠকেও আমি যাব। আরও বিস্তারিত কথা হবে।”
বিভিন্ন জায়গায় জোর করে গেরুয়া চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেন, বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পে গেরুয়া পোশাক পরতে বাধ্য করা হচ্ছে কর্মীদের। মেট্রোতেও এই রীতি চালু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, তাঁরা গেরুয়া রংকে সম্মান করেন- সেটা ত্যাগের প্রতীক। তবে বিজেপি সেটাকে অত্যাচারের হাতিয়ার করছে- অভিযোগ মমতার। তিনি বলেন, “শুনলাম সমস্ত পেট্রল পাম্পে ইনস্ট্রাকশন গিয়েছে, যারা কাজ করবে তাদের সব গেরুয়া পোশাক পরতে হবে। বাইপাসের দিকে মেট্রো স্টেশনগুলো দেখে নিন, অর্ধেক গেরুয়া করে দিয়েছে। ৩৬ টি স্টেশন মডার্নাইজেশনের নামে গেরুয়া করার কাজ চলছে। এসব আমার আমলে পাশ হওয়া প্রকল্প। সারা দেশ যদি গেরুয়া হয়ে যায় তাহলে অন্য রংগুলো কোথায় যাবে? গেরুয়া রং পবিত্র রং। ত্যাগের প্রতীক। ত্যাগের প্রতীককে যদি ওরা অত্যাচারের প্রতি হিসেবে ব্যবহার করে তাহলে মানুষ মেনে নেবে না।”
Be the first to comment