কোহলি ব্রিগেডের সামনে থেমে গেলো অস্ট্রেলিয়ার অশ্বমেধের ঘোড়া

Spread the love

কোহলি ব্রিগেডের সামনে থমকে গেল অস্ট্রেলিয়া। টানা ১০ ম্যাচ পরে হারের মুখ দেখতে হল ফিঞ্চ, ওয়ার্ণারদের। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচেও সহজ জয় পেলো ভারত। রবিবার টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন কোহলি। এদিন ওভালের মাঠেই অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে মর্যাদা দিলেন দুই ওপেনার। রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান। গত ম্যাচে যেখানে শেষ করেছিলেন, আজ যেন সেখান থেকেই শুরু করলেন রোহিত শর্মা। কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন। ৫৭ রানে আউট হলেন তিনি। তবে রোহিত আউট হলেও শিখর ধাওয়ানকে টলাতে পারেননি অজি বোলাররা।

অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে সঙ্গে নিয়ে অজ় বোলারদের শাসন করতে শুরু করলেন গব্বর। তবে এদিন শতরান করে নিন্দুকদের যেন সব সমালোচনার জবাব দিলেন শিখর। মাত্র ১০৯ বলে ১১৭ রানের ইনিংস ভারতকে মজবুত ভিতের উপর দাঁড় করিয়ে দেয়। এরপরই শুরু হয় কোহলি-পান্ডিয়া এবং কোহলি-ধোনি ম্যাজিক। ২৭ বলে ৪৮ রান করেন হার্দিক পান্ডিয়া। এছাড়াও ১৪ বলে ২৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে দলকে ৩৫০ রানের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেন ধোনি। অন্যদিকে ৭৭ বলে ৮২ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংসে সমর্থদের আশ্বস্ত করেন বিরাট। ৪টি চার ও ২টি ছয়ে সাজানো ছিল ভারত অধিনায়কের ইনিংস। ১১ রানে অপরাজিত থাকেন লোকেশ রাহুল। ব্যাট হাতে মাঠে নামলেও কোনও বল খেলার সুযোগ হয়নি কেদার যাদবের ৷ ৫০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ৩৫২ রান তোলে ভারত অর্থাৎ ওভালে জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার সামনে ৩৫৩ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা রাখে তারা ৷ শুধু ওভালেই নয়, জিততে হলে বিশ্বকাপের ইতিহাসেও রেকর্ড রান তাড়া করতে হতো অস্ট্রেলিয়াকে ৷ শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই চালালেও অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয়ে যায় ৩১৬ রানে ৷

তবে ১টি উইকেট নিলেও ১০ ওভারে ৭৪ রান খরচ করলেন অস্ট্রেলিয়ার এক নম্বর বোলার মিচেল স্টার্ক। ২টি উইকেট সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে সফল বোলার মার্কাস স্টোইনিস। যদিও মাত্র ৭ ওভারে ৬২ রান খরচ করলেন তিনি ৷ এছাড়া ১টি করে উইকেট নেন ন্যাথন কুল্টার-নাইল ও প্যাট কামিন্স ৷

এদিন ভারতের ব্যাটসম্যানদের হাত ধরে যে কাজটা শুরু হয়েছিল, তা যেন পূর্ণতা পেল ভুবি-বুমরাহের হাত ধরে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ভাগ্যের সাহায্য পেয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া ৷ ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই বুমরাহ বোল্ড করেন ডেভিড ওয়ার্নারকে ৷ তবে বেল না পড়ায় সে যাত্রায় বেঁচে যান অজি ওপেনার ৷ শূন্যরানে আউট হতে বসা ডেভিড ওয়ার্নার শেষমেশ ৮৪ বলে ৫৬ রান করে চাহালের বলে আউট হন ৷ তার আগে অ্যারন ফিঞ্চকে দুরন্ত ক্ষিপ্রতায় রানআউট করেন কেদার যাদব ৷ আউট হওয়ার আগে অজি অধিনায়ক ৩৫ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন। স্টিভ স্মিথ ও উসমান খোওয়াজা তৃতীয় উইকেটে জুটিতে ৬৯ রান যোগ করেন ৷ খোওয়াজা ৩৯ বলে ৪২ রান করে বুমরাহর বলে বোল্ড হওয়ার পর ম্যাক্সওয়েল ক্রিজে এসে ঝড় তোলন ৷ স্মিথ ও ম্যাক্সওয়েল যখন ব্যাট করছিলেন, ম্যাচে ভারতের অধিপত্য কিছুটা হলেও ক্ষুন্ন হয়েছিলো। তবে স্মিথ (৬৯) ও স্টোইনিসকে (০) একই ওভারে ফেরত পাঠিয়ে ভুবনেশ্বর কুমার ম্যাচের রাশ দলের হাতে এনে দেন ৷ পরে চাহাল আউট করেন ম্যাক্সওয়েলকে ৷ ১৪ বলে ২৮ রান করে ক্রিজ ছাড়েন এই অলরাউন্ডার ৷ অ্যালেক্স ক্যারি ৩৫ রানে অপরাজিত ৫৫ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেললেও শেষরক্ষা করতে পারেননি ৷ বুমরাহ আউট করেন কুল্টার-নাইল (৪) ও কামিন্সকে (৮) ৷ স্টার্ক রানআউট হন ৩ রান করে ৷ ইনিংসের শেষ বলে ভুবনেশ্বর তুলে নেন জাম্পার উইকেট ৷ বুমরাহ ও ভুবনেশ্বর ৩টি করে উইকেট নেন। চাহাল নেন ২টি উইকেট ৷ ম্যাচের সেরা হন ধাওয়ান ৷

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*