উন্নত কুয়েত নির্মাণের জন্য একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি ভারতের, এক্স হ্যান্ডেলে লিখলেন মোদি

Spread the love

রোজদিন ডেক্স: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শনিবার দু’দিনের সফরে কুয়েতে গিয়েছেন। ৪৩ বছরের মধ্যে উপসাগরীয় দেশটিতে কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর এটাই প্রথম সফর। উন্নত কুয়েত নির্মাণের জন্য একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে ভারত।
দক্ষতা, প্রযুক্তির নিশ্চয়তা, উদ্ভাবন এবং জনশক্তির মতো ব্যাপারে কুয়েতকে ভারত সাহায্য করতে পারে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কুয়েতে পৌঁছে দু’দেশের সম্পর্ক নিয়ে স্থানীয় সংবাদসংস্থাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
পরে এক্স হ্যান্ডেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা-ভারত ও কুয়েত সম্পর্ক বহুমুখী। আমাদের এই শক্তিশালী সম্পর্কের বিস্তার বাণিজ্য থেকে শুরু করে বিনিয়োগ সবর্ত্র চোখে পড়ার মতো। আমাদের বন্ধুত্বকে আরও শক্তিশালী করার জন্য প্রাণবন্ত ভারতীয় প্রবাসীরাও রয়েছেন। আমি কুয়েতের সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই সমস্ত বিষয় নিয়ে কথা বলেছি।”
ওই সংবাদসংস্থাও তাদের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছে, “ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী, কুয়েতের সঙ্গে বাণিজ্য, ওষুধ, স্বাস্থ্য এবং প্রযুক্তির মতো ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ৷” প্রধানমন্ত্রী মোদি মনে করেন, “দুই দেশ হৃদয়ের বন্ধনে জড়িয়ে আছে।”


১৯৮১ সালে কুয়েতে শেষ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সফর করেছিলেন ইন্দিরা গান্ধি ৷ তারপর এই সফরটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ২০০৯ সালে প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারির সফরে উপসাগরীয় দেশটির সঙ্গে উচ্চ-পর্যায়ের পারস্পরিক সম্পর্ক মজবুত হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী মোদি এক্স হ্যান্ডেলে আরও লিখেছেন, “আমি মাত্র আড়াই ঘন্টা আগে কুয়েতে এসেছি। যখন থেকে আমি এখানে পা রেখেছি, তখন থেকেই আমি একটি আলাদা অনুভূতি আমায় গ্রাস করেছে। চারপাশে উষ্ণতাও অনুভব করছি। মনে হচ্ছে যেন একটি মিনি হিন্দুস্তান আমার সামনে এসেছে ৷”
প্রধানমন্ত্রী আরও লেখেন, “ভারত ও কুয়েত সমৃদ্ধির অংশীদার হবে। আগামী দশকগুলিতে, আমরা এই সমৃদ্ধির অংশীদার হব। আমাদের লক্ষ্য ভিন্ন নয়। কুয়েতের মানুষ নতুন এবং উন্নত কুয়েত গড়ছেন। ভারতের জনগণও ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছেন। বাণিজ্য ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে কুয়েত একটি গতিশীল অর্থনীতিতে পরিণত হতে চায়। ভারত উদ্ভাবনের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে এবং তার অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছে। উভয় লক্ষ্য একে অপরকে সমর্থন করে ৷”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*