চলতি বছরের শেষেই ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে টাকা

Spread the love

২০১৮ সালের শেষে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে টাকা। চলতি বছরে টাকা দাম আমেরিকার ডলারের তুলনায় কমেছে হু হু করে। তার কারণ ছিল মূলত দু’টি। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়ে যাওয়া, চিন ও আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ। কিন্তু ক্রিসমাসের আগে কমেছে তেলের দাম। ফলে টাকার দাম বাড়ছে। ডিসেম্বরে শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকে টাকার দাম বেড়েছে যথেষ্ট।

২০১৭ সালের মার্চে শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকের পরে টাকার দাম আর কখনও এত বাড়েনি।
পর্যবেক্ষকরা আশা করছেন, ২০১৯ সালেও টাকার দামের উর্ধ্বগতি বজায় থাকবে। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমছে। আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভও আর কড়া শর্ত চাপাচ্ছে না বিনিয়োগকারীদের ওপরে। সিঙ্গাপুরে নমুরা হোল্ডিং ইনকর্পোরেটেডের স্ট্র্যাটেজিস্ট দুষ্যন্ত পদ্মনাভন বলেছেন, ২০১৮ সালের টাকার দাম পড়েছিল। আমরা আশা করছি, ২০১৯-এ তার বিপরীত প্রবণতা দেখা দেবে। অর্থাৎ টাকার দাম হবে উর্ধ্বমুখী। তেলের কম দাম ও ফেডারেল ব্যাঙ্কের কড়াকড়ি কমার ফলেই লাভবান হবে টাকা।

ভারত মূলত বিদেশ থেকে তেল আমদানি করে। গত অক্টোবরে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মুল্যবৃদ্ধি হওয়ায় টাকার দাম কমে। তাছাড়া বিনিয়োগকারীরা এদেশের শেয়ার ও বন্ড থেকে ১২০০ কোটি ডলার তুলে নিয়ে যান। এখন তার বিপরীত প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। গত সোম ও মঙ্গলবার টাকার দাম বেড়েছে ২.১ শতাংশ। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে মাত্র দু’দিনের মধ্যে টাকার দাম এত বেশি বেড়েছিল। তার পরে আর কখনই এই পরিমাণে বাড়েনি। বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ার রুপিয়ার পরে ভারতীয় মুদ্রাই সবচেয়ে বেশি তেজি।

একইসঙ্গে আশঙ্কার কথাও শুনিয়েছেন কেউ কেউ। দুষ্যন্ত পদ্মনাভন বলেছেন, ফের যদি তেলের দাম বাড়ে তাহলে দেশে পুঁজি বিনিয়োগ কমবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গে যদি ফের সরকারের বিরোধ হয়, তা হলেও ক্ষতি হবে টাকার। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপরেও নজর রাখছেন বিশেষজ্ঞরা। বাজারের ধারণা, বিজেপি শরিকদের নিয়ে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসবে। তাতে সুবিধা হবে বিনিয়োগকারীদের। বাড়বে টাকার দামও। কিন্তু সম্প্রতি পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির খারাপ ফল দেখে আশাহত হচ্ছেন কেউ কেউ।

আরও একটি আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন কোনও কোনও পর্যবেক্ষক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যদি দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসেন, তা হলেও হয়তো আগের মতো বেশি আসন আর মিলবে না। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় দফায় তিনি আগের মতো সংস্কার চালিয়ে যাবেন কিনা সন্দেহ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*