ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্ত রাজ্যগুলির সুরক্ষার জন্য তৈরী হল বর্ডার-প্রোটেকশন গ্রিড

Spread the love

বিশেষ প্রতিনিধিঃ IBB(ইন্দো-বাংলাদেশ বর্ডার) রাজ্যগুলির সঙ্গে নবান্ন সভাঘরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর মিটিং শেষ হলো। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও এই বৈঠকে ছিলেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু, আসাম ও মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রিয় স্বরাষ্ট্র সচিব, মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী, ত্রিপুরার স্বরাষ্ট্র সচিব, বর্ডার ম্যানেজমেন্টের সচিব, বি.এস.এফ এর ডি.জি, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব মলয় দে সহ বহু উচ্চপদস্থ আধিকারীকরা।

বৈঠক শেষে রাজনাথ সিং বলেন, অত্যন্ত ফলপ্রসু বৈঠক হয়েছে। মুলত ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোর উন্নয়ন এবং সীমান্তের নিরাপত্তাই হলো আলোচনার মূল বিষয়। এরপর তিনি বলেন, এর আগে যথেষ্ট গুরুত্ব নিয়ে ইন্দো-চায়না, ইন্দো-মায়ানমার এবং ইন্দো-পাকিস্তান বর্ডার নিয়েও এইরকম আলোচনা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলি নিজেদের মধ্যে ব্যবসা বানিজ্য এবং অবশ্যই বাংলাদেশীদের সঙ্গে বানিজ্যিক সম্পর্ক যেমন ছিল তেমনই থাকবে। তিনি বলেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই পাঁচটি রাজ্যের সাথে কেন্দ্রীয় সরকারের মূল আলোচনার বিষয় ছিল বে-আইনী অনুপ্রবেশ, গবাদিপশু চোরাচালান, ভূয়ো পরিচয়পত্র, নারী ও শিশু পাচার, নকল নোট, সন্ত্রাসবাদ এবং অপরাধ মূলক কার্যকলাপ রোধ করা। এ ব্যাপারে বিশেষভাবে জোর দেওয়া হয়েছে। রাজনাথ সিং এও বলেন, ইন্দো-বাংলাদেশ বর্ডারে যে পাঁচটি রাজ্য আছে সেই সীমান্ত ৪০৯৬ কিলোমিটার লম্বা। তার মধ্যে ৩০০৬ কিমি কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে ঘেরা আছে। বাকি ১০৯০ কিমি এখনো কোনো কাঁটা তারের বেড়া নেই। এক্ষেত্রে আমরা টেকনোলোজিক্যাল ক্যাপাসিটি ব্যবহার করবো। যেমন ফ্লাড লাইট, ল্যাডার, লেসার ও ক্যামেরার মত ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে উন্নতমানের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মোড়কে মুড়ে ফেলা হচ্ছে ইন্দো-বাংলাদেশ বর্ডার। উপরের সমস্যাগুলো আমাদের কাছে বিরাট চ্যালেঞ্জ। এই ব্যাপারে সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরা আমাদের সহযোগিতা করছে। আমরাও শিঘ্রই গুরুত্ব নিয়ে ভাবছি। উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণে আমরা সচেষ্ট। অপরাধীরা অনেক সময় বাংলাদেশেও আশ্রয় নিচ্ছে। বর্ডার প্রোটেকশন গ্রিড করে আমরা নজরদারি বাড়াচ্ছি সীমান্তে। এক্ষেত্রে গোয়েন্দাবাহিনী এবং কেন্দ্র-রাজ্যের এজেন্সীগুলো সক্রিয় ভূমিকা নেবে। এই বর্ডার প্রোটেকশন গ্রিডকে প্রত্যেক রাজ্যের একটা রাজ্যস্তরের স্ট্যান্ডিং কমিটি দেখাশোনা করবে। এটি মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে চলবে।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে রাজনাথ সিং বলেন, কোনরকম বে-আইনী অনুপ্রবেশ বরদাস্ত করা হবে না।

  

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*