ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা থেকে ট্রেন ছুটবে বাংলাদেশের আখাউড়া পর্যন্ত। ভারত-বাংলাদেশ রেল যোগাযোগের নতুন পথ প্রশস্ত করতে সোমবার ভিডিও কনফারেন্স করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নজরুল মঞ্চের ডিজিটাল কনক্লেভ থেকে দুপুরের একটু পরে নবান্নে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই এ দিন বিকেলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলেন পাঁচ জন। আগরতলা-আখাউড়া রেল যোগাযোগের দাবি দীর্ঘদিনের। এমনকী ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-র অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল এই রেল লাইন পাতা। অবশেষে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী, ভারতের বিদেশমন্ত্রী এবং দুই মুখ্যমন্ত্রী মিলে বেশ কিছুক্ষণ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলেন। এ দিন নবান্ন থেকে বেরনোর সময় মমতা সাংবাদিকদের বলেন, “আগরতলা-আখাউড়া রেল পথ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাজ্য এখন বাংলা দেশকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বিক্রি করে। প্রধানমন্ত্রী যদি অনুমতি দেন তাহলে আরও হাজার ওয়াট দিতে পারি।” ত্রিপুরা থেকে এই রেলপথ চালু হলেও বাংলাদেশ লাগোয়া রাজ্য হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকেও যুক্ত করা হয় ইন্দো-বাংলাদেশ এই ভিডিও কনফারেন্সে।
বর্তমানে ভারত-বাংলাদেশ রেল যোগাযোগ বলতে কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস। ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশের যোগাযোগ বলতে শুধুই সড়ক পথ। ওয়াকিবহালমহলের মতে, এই রেল পথ বাস্তবায়িত হলে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে।
Be the first to comment