‘এটি একটি স্বৈরাচারী পদক্ষেপ’ কেন্দ্র বিল অনুমোদন করতে তীব্র প্রতিবাদ করলেন মমতা

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক :- ‘এক দেশ, এক ভোট’ বিলে র প্রস্তাব মোদির মন্ত্রীসভায় অনুমোদন পাওয়ার পরই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। “এটি একটি স্বৈরাচারী পদক্ষেপ” বলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
The Union Cabinet has bulldozed their way through with the unconstitutional and anti-federal One Nation, One Election Bill, ignoring every legitimate concern raised by experts and opposition leaders.


এদিন বিকেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোষ্ট করে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি লেখেন, “বিরোধীরা সঙ্গত উদ্বেগ জানালেও এক দেশ এক ভোট বিল নিয়ে বুলডোজার চালাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এটা শুধু অসাংবিধানিক নয়, এটা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী”। এদিন তিনি আরও লেখেন, “এটি কোনও সুষ্ঠুভাবে বিবেচিত সংস্কার নয়; এটি একটি স্বৈরাচারী পদক্ষেপ, যা ভারতের গণতন্ত্র এবং সাংবিধানিক কাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে”। তৃণমূলনেত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর দলের সাংসদরা এই এই জনবিরোধী বিলটির কঠোরভাবে বিরোধিতা করবেন। তাঁর কথায়,“বাংলা কখনওই দিল্লির একনায়কতন্ত্রী সিদ্ধান্তের কাছে নত হবে না। এই সংগ্রাম ভারতের গণতন্ত্রকে স্বৈরতন্ত্রের কবল থেকে রক্ষা করার লড়াই!”
প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসে এই বিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠিও দিয়েছিলেন তিনি। সেই চিঠিতে এক দেশ এক নির্বাচন নিয়ে নিজের উদ্বেগের কথা জানিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সে সময় তিনি লিখেছিলেন, “এক দেশ এক নির্বাচন নীতি কার্যকর করা হলে দেশে আর কখনও ভোটই হবে না। কেউ ভোট দিয়ে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন না। তৈরি হবে স্বৈরাচারী সরকার।”
উল্লেখ্য, বুধবার সংসদে অধিবেশন চলাকালীন কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান ‘এক দেশ, এক ভোট’-এর পক্ষে সওয়াল করে বলেন, ”বার বার নির্বাচনের ফলে দেশের উন্নতির পথে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। দেশে কোনও না কোনও সময় কোথাও না কোথাও নির্বাচন হয়েই চলেছে।” শিবরাজ আরও বলেন, ”লোকসভা নির্বাচন হয়ে গেলে বিধানসভা নির্বাচন আসে। হরিয়ানা, জম্মু এবং কাশ্মীর, মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খন্ডে বিধানসভা নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। সামনেই দিল্লিতে নির্বাচন রয়েছে। বারো মাস ধরেই নির্বাচনের প্রস্তুতি চলে কোনও কোনও রাজ্যে। এর ফলে দেশের বিকাশের পথে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে।” ‘এক দেশ, এক ভোট’-এর ফলে নির্বাচন করার বিপুল খরচে রাশ টানা যাবে বলে দাবি কেন্দ্রীয় সরকারের। বারবার নির্বাচনের জন্য সরকারি কাজকর্ম, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পে থমকে যায়। শুধুমাত্র খরচই নয়, ভোটকর্মী এবং নিরাপত্তারক্ষীদের পরিশ্রমও কমবে। মনে করা হচ্ছে, একসঙ্গে বিধানসভা এবং লোকসভার ভোট হলে ভোটের হার বাড়তে পারে বলেও দাবি।
অন্যদিকে, কৌশলগতভাবে বুধবার থেকে ক্ষেত্র প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিল বিজেপি। বুধবার দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের বলেন, “এক দেশ, এক ভোট” উদ্যোগ একেবারেই জাতীয় স্বার্থে, এটি কোনও নির্দিষ্ট দলের জন্য নয়। তিনি এও বলেন যে অর্থনীতিবিদদের মতে, এই প্রস্তাব কার্যকর হলে দেশের জিডিপি ১ থেকে ১.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*