কেকের আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনায় এবার মুখ খুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীর মৃত্যুতে তিনি কাঠগড়ায় তুললেন রাজ্য সরকারকেই। তাঁর কথায়, ”সংগীতশিল্পী কেকের মৃত্যুতে আমি অত্যন্ত ব্যথিত। তাঁর জীবনের শেষ কয়েকঘণ্টা খুব কষ্ট পেয়েছেন। আমার কাছে বহু মানুষ ভিডিয়ো পাঠিয়েছেন। আমি সেগুলো দেখেছি। আমার বুক ফেটে গিয়েছে কষ্টে। আর তাঁর এই মৃত্যর জন্য দায়ী চরম প্রশাসনিক ব্যর্থতা।”
দিল্লি যাওয়ার পথে বাগডোগরা বিমানবন্দরে শনিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কলকাতায় কেকের মৃত্যুর জন্য প্রশাসনকেই দুষলেন তিনি। রাজ্যপালের কথায়, ”কেকের অনুষ্ঠানে চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছিল। প্রশাসনের চরম ব্যর্থতা। আমরা যদি বিষয়টি নিয়ে আরও গভীরে যাই তাহলে বুঝতে পারব, ওইদিন পরিস্থিতি অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে গিয়েছিল। মাত্রারিক্ত দর্শক ওই অডিটোরিয়ামে প্রবেশ করেছিলেন। যা সম্পূর্ণ উদ্যোক্তাদের ব্যর্থতা। তাদের এর জন্য শাস্তি পাওয়া উচিত।”
এদিকে, কেকের আকস্মিক মৃত্যুর জেরে কলকাতার অডিটোরিয়ামগুলিতে সাংস্কতিক অনুষ্ঠানের জন্য SOP তৈরি করে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। শুক্রবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ”বড় কোনও শিল্পী এলে আগে থেকে জানাতে হবে। কলকাতা পুলিশকেও অনুষ্ঠানের আগে থেকে বিস্তারিত জানাতে হবে। পুলিশের অনুমতি ছাড়া এই ধরণের বড় কোনও অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া যাবে না।”
ফিরহাদ হাকিম এদিন আরও বলেন, ”আমাদের ডোভার লেনেও তো সংগীতানুষ্ঠান হয়। সেখানে এত উচ্ছ্বাস হয় না। সেখানে সারারাত বসে সংগীতপ্রেমীরা গান শোনে। কিন্তু, বাইরে থেকে বড় কোনও শিল্পী এলে আগে থেকে তা জানাতে হবে।” KK-র ঘটনার পর আগাম সতর্ক কলকাতা পুলিশ। এবার থেকে অনুষ্ঠানের বিষয়ে আগাম জানানোর পাশাপাশি অ্যাম্বুল্যান্স বা চিকিৎসকের ব্যবস্থা রাখতে হবে। আগে থেকে একটি হাসপাতাল চিহ্নিত করে রাখতে হবে যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সেখানে নিয়ে যাওয়া যায়। হলের ক্ষমতা অনুযায়ী টিকিট বিলি করতে হবে । অতিরিক্ত ভিড় এড়াতে এই পদক্ষেপ।
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে কলকাতার পুলিশ কমিশনার স্পষ্ট জানান, ঘটনার দিন নজরুল মঞ্চ এবং আশেপাশে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল। KK-র শোয়ের আগে থেকেই পুলিশ সেখানে মোতায়েন করা হয়। কিছু কিছু মানুষ নিয়ম ভেঙে স্টেজে ঢোকার চেষ্টা করছিল বলেও জানিয়েছে লালবাজার।
Be the first to comment