নন্দীগ্রামে ভোট পরবর্তী হিংসার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ৷ এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন তিনি ৷ তাঁর দাবি, রাজ্যের পরিস্থিতি খুব খারাপ ৷ তাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রাজ্যের প্রথম সেবক হিসাবে তাঁর আবেদন, করোনা মোকাবিলার পাশাপাশি ভোট পরবর্তী হিংসা কবলিত এলাকাগুলির দিকেও নজর দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
আজ ৯ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ হরিপুর হেলিপ্যাড ময়দানে নামেন ৷ সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান শুভেন্দু অধিকারী ৷ এরপর সেখান থেকে নন্দীগ্রামের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি ৷ আক্রান্তদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁদের কথা শোনেন ৷ এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি রাজ্যের পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন ৷ বলেন, “কয়েকজন আছেন যারা নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছেন ৷ প্রশাসনের ভয় নেই ৷ পুলিশের ভয় নেই ৷ আর কয়েকজন আছেন যাঁরা নিশ্চিতে ঘুমাতে পর্যন্ত পাচ্ছেন না ৷ তাদের প্রশাসন ও পুলিশের ভয় আছে ৷ তাঁদের বাঁচানোর কেউ নেই ৷ এটা ঠিক হচ্ছে না ৷ পরিস্থিতি খুব খারাপ ৷ ভারতের আর কোথাও এত ভোট পরবর্তী হিংসা দেখা যায়নি ৷”
এরপরই হাত জোড় করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রাজ্যের প্রথম সেবক হিসাবে তাঁর আবেদন, “করোনা মোকাবিলার পাশাপাশি ভোট পরবর্তী হিংসা কবলিত এলাকাগুলির দিকেও নজর দিন ৷ লাখ লাখ মানুষের যন্ত্রণা বোঝার চেষ্টা করুন ৷
তিনি আরও বলেন, ” কারও বাড়ি বোমা দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে , আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে, শিশু ও মহিলাদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে ৷ এই নিয়ে কিছু তো করুন? পশ্চিমবঙ্গের এই পরিস্থিতি যখনই দেখি, তখনই আমার বুক কেঁপে ওঠে ৷”
এদিকে, রাজ্যপালের আসাকে অনেকে ভাল চোখে দেখছে না ৷ এক বাসিন্দার মতে, রাজ্যপাল এখানে এসেছেন উত্তেজনা ছড়ানোর জন্য ৷ আমরা শান্তিতে আছি, সেটা দেখা তাঁর গায়ে জ্বালা হচ্ছে ৷ তিনি একবারও করোনা মোকাবিলা নিয়ে কিছু বলছেন না ৷ আমরা গরিব যারা তাদের এখন প্রধান আতঙ্ক হল কোভিড ৷ তিনি সেটা নিয়ে কিছু না বলে ধর্ম নিয়ে উস্কানি দিচ্ছেন ৷
Be the first to comment