আসানসোলের কর্মিসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের একটি শব্দ নিয়ে সর্বত্রই চলছে আলোচনা। ওই শব্দ প্রত্যাহারের আরজিতে এবার আসরে নামলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এ বিষয়ে মু্খ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। যদিও রাজ্যপালকে পালটা খোঁচা দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
কী নিয়ে এত বিতর্ক? মঙ্গলবার আসানসোলে ছিল তৃণমূলের কর্মিসভা। তাতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সামনে আবার ২১ জুলাই আছে। আপনারা জানেন ২১ জুলাই আমাদের শহিদ তর্পণের দিবস। ২১ জুলাই বিজেপির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণার দিবস।” ওই ‘জেহাদ’ শব্দেই আপত্তি বিজেপির। মঙ্গলবার থেকেই তা নিয়ে সরব হয়েছে পদ্মশিবির। বুধবার তা নিয়ে নালিশ জানাতে রাজ্যপালেরও দ্বারস্থ হন বিজেপির ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল। নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। টুইট করে সেকথা নিজেই জানিয়েছেন খোদ রাজ্যপাল।
এরপর টুইটারে ওই কর্মিসভার ভিডিও পোস্ট করেন জগদীপ ধনকড়। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রীকে একটি চিঠিও পাঠান তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যকে দুর্ভাগ্যজনক এবং সাংবিধানিক অরাজকতার নির্দেশক বলে উল্লেখ করেন রাজ্যপাল। এ ধরনের মন্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিও জানান তিনি।
এই চিঠি নিয়ে আরও একবার রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে। কড়া ভাষায় রাজ্যপালকে পালটা জবাব দেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “অনেক শব্দ রয়েছে যেগুলো কথ্য ভাষায় ব্যবহার করে থাকি আমরা। তা কখনও ধর্ম দেখে ব্যবহার হয় না। মঙ্গলবার আমরা রাজভবনে গিয়েছিলাম। তাই চাপে পড়ে নতুন নাটক মঞ্চস্থ করা হয়েছে। এর প্রযোজক রাজ্যপাল আর পরিচালনায় বিজেপি।”
Be the first to comment