রাজ্যপালের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছিল বলে দাবি করেছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। অথচ তাঁরা রাজভবন ছেড়ে বেরিয়ে আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই সুরবদল করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। টুইটে ফের একবার মুখ্যমন্ত্রীকে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দিলেন। বিঁধলেন সিন্ডিকেট, মাফিয়ারাজ নিয়েও।
পরে সাংবাদিক বৈঠক থেকে পালটা দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বললেন,”রাজনৈতিক পক্ষপাত দুষ্ট টুইট করছেন। ওঁর রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা থেকে এই টুইট করতে বাধ্য হয়েছেন। বিভ্রান্তিমূলক টুইট।”
চিটফান্ড তদন্তে বিজেপি-ইডির পক্ষপাতিত্ব নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল। বিজেপিতে আশ্রয় নেওয়া অভিযুক্তরা যাতে রেহাই না পায়, সেই দাবি নিয়ে রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছিল শাসক দলের ৮ প্রতিনিধি। বেরিয়ে তাঁরা জানিয়েছিলেন, “রাজ্যপালের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘ কথাবার্তা হয়েছে। আমরা তাঁকে নিজেদের সব কথা জানিয়েছি। তিনি শুনে নিজের মতামত দিয়েছেন, আমরাও পালটা বলেছি যে আমরা কী মনে করছি। তৃণমূল এবং সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যপালের সঙ্গে এই আলোচনা জারি থাকবে।” যা দেখে মনে হচ্ছিল রাজ্যের শাসকদল আর রাজ্যপালের মাঝের বরফ গলছে। কিন্তু ঘণ্টা খানেকের মধ্যে বদলে গেল ছবি।
তৃণমূলের প্রতিনিধি দল বেরিয়ে আসার পর টুইট করেন রাজ্যপাল। ধনকড় লেখেন, “তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের কাছে রাজ্যে আইনের শাসন কার্যকর করার আরজি জানিয়েছি। সিন্ডিকেট এবং মাফিয়ারাজ রুখতে ব্যবস্থা নেওয়া। সাম্প্রদায়িক তোষণ বন্ধের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী যাতে সংবিধান মেনে চলেন, তার আরজি জানিয়েছি।” ভোট পরবর্তী হিংসা, মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট প্রসঙ্গও টেনে আনেন রাজ্যপাল।
জবাবে কুণাল ঘোষ বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে দেখলাম রাজ্যপাল টুইট করেছেন। সেখানে মূল আলোচনার বিষয়ের বাইরের কিছু জিনিস তুলে ধরেছেন। মনে রাখতে হবে তৃণমূল আবেদন নিয়ে তার কাছে গেছিল। উনি কোনও আবেদন করতে আসেননি। টুইটে বিজেপির বলে দেওয়া কথা তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের কাছে আবেদন করছেন।
তিনি আরও বলেন, এই টুইট রাজ্যপালকে মানায় না। একটা সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনার পর কার কাছে ভাল সাজার জন্য এই টুইট করলেন তিনি, সেটা তিনিই জানেন। তৃণমূলের মুখপাত্রের কথায়, উনিও (রাজ্যপাল) বললেন এই কমিউনিকেশন দরকার। কিন্তু যদি উনি অসম্পূর্ণ টুইট করেন তাতে পক্ষপাতদুষ্টতা সামনে আসে। তাঁর (রাজ্যপাল) টুইটব্যাধি সামনে আসে।
Be the first to comment