উপরাষ্ট্রপতি পদে বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কেই প্রার্থী করল এনডিএ ৷ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা সংসদীয় বোর্ডের বৈঠক শেষে ধনখড়ের নাম ঘোষণা করেন ৷ শনিবারের সন্ধ্যায় ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জেপি নাড্ডা-সহ অন্য নেতারা ৷
এর আগে রাষ্ট্রপতি পদে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল জনজাতি গোষ্ঠীর নেত্রী দ্রৌপদী মুর্মুকে প্রার্থী করে চমক দিয়েছিল বিজেপি। এবার ধনখড়কে উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করে বড় চমক দিল কেন্দ্রের শাসকদল ৷ এদিনই সংসদীয় দলের বৈঠকের আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন ধনখড় ৷ শুক্রবার তাঁর সঙ্গে বৈঠক হয় অমিত শাহের। তখনই আঁচ করা গিয়েছিল, ধনখড়কে কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হচ্ছে ৷
বুধবার দার্জিলিংয়ের রাজভবনে ধনখড় প্রায় তিনঘণ্টা বৈঠক করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে ৷ যদিও ওই বৈঠক সম্পর্কে কেউই কোনও মন্তব্য করেননি৷ বৈঠক থেকে বেরিয়ে মমতা শুধু বলেন, রাজনীতির কোনও কথা হয়নি ৷ নেহাতই সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ ছিল ৷ চা খেলাম, বিস্কুট খেলাম ৷ রাজনৈতিক মহলের খবর, ওই বৈঠকেও ধনখড় তাঁর নতুন পদের ব্যাপারে তৃণমূল নেত্রীকে কোনও ইঙ্গিত দিয়ে থাকতে পারেন ৷ দার্জিলিং থেকেই ধনখড় সরাসরি দিল্লি চলে যান ৷
২০১৯ সালের বাংলার রাজ্যপাল হয়ে আসেন জগদীপ ধনখড়৷ প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী ধনখড় আইনজীবী হিসেবেও বিশেষ পরিচিত৷ এই রাজ্যে রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকেই তাঁর সঙ্গে রাজ্য সরকারের বিরোধ চলতে থাকে ৷ এই বিরোধ এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে মুখ্যমন্ত্রী বেশ কয়েকবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে তাঁর অপসারণের দাবি জানান ৷ গত তিনবছর ধরে শাসকদলের সঙ্গে রাজ্যপালের সম্পর্ক ছিল আদায় কাঁচকলায় ৷ রাজভবন এবং তৃণমূল নেতামন্ত্রীদের টুইট যুদ্ধ লেগেই ছিল গত তিনবছর ধরে। রাজ্যপাল যেমন মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিধানসভার স্পিকার-সহ শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের নানা ইস্যুতে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি, তেমনি তাঁকেও পাল্টা কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে বহুবার ৷
Be the first to comment