রাজ্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্যের পদ থেকে রাজ্যপালকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর আনা এই প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। এবার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও রাজ্যপালের নিয়ন্ত্রণের বাইরে আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, এ বার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ভিজিটর’ পদ থেকেও সরানো হতে পারে রাজ্যপালকে।
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে ‘ভিজিটর’ পদ দেওয়া হতে পারে। আর পাঁচটা বিষয়ের মতো শিক্ষাক্ষেত্রেও বিভিন্ন সময় নানা অভিযোগ তুলে রাজ্যপাল রাজ্য সরকারের তোপের মুখে পড়েছে। কখনও উপাচার্যদের বৈঠক ডাকাকে ঘিরে, কখনও উপাচার্য নিয়োগের প্রশ্নে আপত্তি তোলায় রাজ্য সরকারের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়েছেন রাজ্যপাল। আজ পর্যন্ত রাজ্যপালের ডাকা কোনও বৈঠকেই উপাচার্যরা হাজির হননি রাজ্য সরকারের আপত্তির কারণেই।
সম্প্রতি রাজ্যপাল অভিযোগ করেছেন, বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর সম্মতি ছাড়ায় বেআইনিভাবে উপাচার্য নিয়োগ করেছে রাজ্য সরকার একতরফাভাবে। সে ব্যাপারেও রাজ্য সরকার সমালোচনা করতে ছাড়েনি রাজ্যপালকে। এই পরিস্থিতিতে এবার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ভিজিটর’ পদ জগদীপ ধনখড়কে সরাতে চলেছে নবান্ন। সম্প্রতি ‘ভিজিটর’ হিসেবে ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একাধিক তথ্য চেয়ে পাঠান রাজ্যপাল ৷
সেই কারণেই রাজ্য সরকার ভিজিটর পদে বদল করতে চলেছে। এমনটাই খবর সূত্রের। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে মমতা সরকারের আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক। একাধিক ইস্যুতে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত প্রকাশ্যে এসেছে বারবার। সেই তালিকা থেকে বাদ যায়নি শিক্ষাও। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ভিজিটর’ ইস্যুতে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত আরও বড় আকার নিল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
Be the first to comment