গত কয়েক দিনের হিংসা এবং অশান্তি নিয়ে কড়া বার্তা দিল রাজ্য পুলিস। হাওড়া, মুর্শিদাবাদ-সহ রাজ্যের একাধিক প্রান্তে যাঁরা হিংসা ছড়িয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন ব্যবস্থা নিতে চলেছে প্রশাসন। প্রত্যেকটি ঘটনার পিছনে কারা জড়িত, কারা পিছন থেকে মদত দিয়েছেন, কারা ষড়যন্ত্র করেছেন, কারা রাস্তায় নেমে অশান্তি পাকিয়েছেন, তা নিয়ে চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করছে রাজ্য পুলিস। এদিন নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে পুলিশের তরিফে জানানো হয়, সমস্ত ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে বহু অপরাধীকে এরইমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাকিদেরও খুঁজে বের করে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। হিংসা, অশান্তির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২০০ জনেরও বেশি অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। সব মিলিয়ে প্রায় ৪২টি এফআইআর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্য পুলিসের অতিরিক্ত ডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম।
জাভেদ শামিম স্পষ্ট করে দিয়েছেন, যারা এই রাস্তা অবরোধ, আগুন জ্বালানো, ট্রেন আটকে দেওয়া, ভাঙচুর করার মতো কাজগুলি করে রাজ্যের শান্তিকে বিঘ্নিত করেছে তাদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। তাঁর কথায়, এই ঘটনায় যুক্ত কাউকে রেয়াত করা হবে না। এমন ভাবেই চার্জশিট দেওয়া হবে যাতে কঠিনতম শাস্তি তারা পায়।
তিনি আরও বলেন, ছোট থেকে ছোটতর ঘটনাতেও পুলিশ খবর পাওয়া মাত্রই ব্যবস্থা নিয়েছে। এখনও অনেক পকেটে তল্লাশি অভিযান চলছে। সিনিয়র অফিসাররা রাস্তাতেই থেকেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে তৎপর। এডিজি আইনশৃঙ্খলা স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন, যাতে নতুন করে কোনও ঘটনা না ঘটে সেই কারণে এখনও হাওড়া-সহ বহু জায়গায় এলাকা নিয়ন্ত্রণে রাখার কাজ করছে পুলিশ।
সোমবার থেকেই হাওড়ায় ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক করা হয়েছে। তবে জাভেদ জানিয়েছেন, এখনই সব জায়গা থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হচ্ছে না। পরিস্থিতি বুঝে প্রশাসন সেই সিদ্ধান্ত নেবে। সেই সঙ্গে রাজ্য পুলিশের তরফে এও বলা হয়, হিংসা, অশান্তিতে পরোক্ষ ভাবে যুক্তদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মুর্শিদাদের বিভিন্ন এলাকা সহ নাকাশিপাড়ার মট অঞ্চলে আপাতত ইন্টারনেট বন্ধ থাকবে এবং ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে।
জাভেদ শামিমের এও বক্তব্য, মিছিল বা জমায়েতের জন্য প্রস্তুতি শুরুর খবর পেলেই সংশ্লিষ্ট এলাকায় ফোর্স পৌঁছে যাচ্ছে এবং তা আটকানো হচ্ছে।
Be the first to comment