রাজ্যসভার প্রার্থী হিসাবে জওহর সরকারের নাম মনোনীত করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী ৯ আগস্ট এই আসনে ভোট সম্পন্ন হওয়ার কথা। আর বুধবারই বিধানসভায় সচিবের ঘরে প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইও মনোনয়ন জমা দিতে চলেছেন। সূত্রের খবর আজ দুপুরেই তিনি মনোনয়ন জমা দেবেন।
এদিকে মনোনয়নের জন্যে প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে ৪’টি সেট। যেখানে তৃণমূলের ১০ জন করে বিধায়ক প্রস্তাবক হিসাবে সম্মতি জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই জওহর সরকার জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিভিন্ন নীতির বিরোধিতা করে তিনি মেয়াদ ফুরানোর আগেই প্রসার ভারতীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। সেটা ছিল সংসদের বাইরে থেকে প্রতিবাদ ৷ কিন্তু এবার সংসদের ভিতরে থেকেই তিনি মোদী বিরোধিতা করতে চান। আর তাই মমতা বন্দোপাধ্যায়ের প্রস্তাব তিনি মেনে নিয়েছেন। জওহর সরকারের নাম ঘোষণা হতে হতেই অভিনন্দন জানিয়েছেন একাধিক ব্যক্তি ৷
রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়ান জানিয়েছেন, “জহর দা, তাড়াতাড়ি দিল্লি চলো এসো ৷ খেলা হবে।” উত্তর দিয়েছেন জওহর সরকারও ৷ তিনি সম্মতিসূচক থাম্বস আপ দিয়েছেন। রাজ্যসভায় তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ”রাজ্যসভায় যাচ্ছেন জওহর সরকার। একজন কৃতী ছাত্র, দেশের সর্বোচ্চ মহলে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করা অন্যতম সেরা ও অভিজ্ঞ আমলা, একজন রুচিশীল অসাধারণ জ্ঞানী, সুপটু লেখক ও বাগ্মীকে মনোনয়ন দিল তৃণমূল কংগ্রেস। দিল্লিতে স্পষ্ট হচ্ছে আগামী বিকল্পের পদধ্বনি।”
দীর্ঘ দিন ধরেই মমতা বন্দ্যোধ্যায়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক জওহর সরকারের। তৃণমূলের এক বর্ষীয়ান নেতা বলছেন, দাদা-বোনের সম্পর্ক যেমন হয় ঠিক তেমনই ছিল এই সম্পর্ক। আলাপন বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের টানাপোড়েনের সময় আলাপন বন্দোপাধ্যায়ের হয়ে গলা ফাটিয়েছিলেন জওহর সরকার। ”মোদী-শাহ কি পাগল হয়ে গিয়েছেন? পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দোপাধ্যায়ের অবসর নিতে আর একদিন বাকি। এখন তাঁকে দিল্লিতে বদলি করা হচ্ছে?” ট্যুইটারে মুখ খুলে বলেছিলেন জওহর সরকার।
Be the first to comment