রোজদিন ডেস্ক,কলকাতা:- ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির (জেপিসি) বৈঠকে শুক্রবার তুলকালাম কাণ্ড বাধল। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ এদিন ১০ বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আগামী ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বৈঠক মুলতুবি রাখা হয়েছে।
এদিন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়ান বিজেপি-র সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। বিরোধী সাংসদদের অভিযোগ, সংসদীয় কমিটির বৈঠকে কোনও নিয়ম মানা হচ্ছে না। সরকার আগে থেকেই তাদের অবস্থান ঠিক করে রাখছে। বিরোধীদের নিজের বক্তব্য পেশ করার সুযোগটুকুও দেওয়া হচ্ছে না। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, ‘এটি একটি অঘোষিত জরুরি অবস্থার মতো বৈঠকে চলছে। চেয়ারম্যান কারও কথা শোনেন না। বিজেপি সাংসদরা মনে করেন যে তাঁরা উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।’
প্রসঙ্গত, ওয়াকফ বিল নিয়ে আলোচনার জন্য বিরোধীদের দাবিমতো যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়েছিল সরকার। প্রাথমিকভাবে ওই কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম সপ্তাহে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিপোর্ট দিতে না পারায় কমিটির মেয়াদ বাড়ানো হয়। শুক্রবার এবং শনিবার চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পাল শেষ দফায় জেপিসির বৈঠক ডাকেন। বৈঠকের শুরুতে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নিশিকান্ত দুবে। বিরোধীদের অভিযোগ, জেপিসির চেয়ারম্যান রিপোর্ট দেওয়ার জন্য বড্ড তাড়া দেখাচ্ছেন। এনিয়ে এখনও বহু আলোচনার প্রয়োজন আছে। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এও অভিযোগ, তাঁরা বারবার দাবি জানাচ্ছিলেন বৈঠকটি ৩০, ৩১ জানুয়ারি ডাকা হোক। কিন্তু, তাতে কর্ণপাত করা হয়নি। বাধ্য হয়ে তাঁরা পূর্ব নির্ধারিত সূচি বাতিল করে এসেছেন। অন্যদিকে, নিশিকান্ত দু’বের অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবে গন্ডগোল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিরোধী সদস্যরা বিশেষত আসাউদ্দিন ওয়েইসি মনে করেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রতিনিধিত্ব মানা হচ্ছে না, তাঁদের কথা শোনা হচ্ছে না। তাঁরা কাশ্মীরের নির্বাচিত সকল প্রতিনিধিকে বৈঠকে হাজির করতে বলেন। অবশেষে বিরোধীদের দাবিমতো এদিনের মতো বৈঠক মুলতুবি করে দেওয়া হয়।
Be the first to comment