প্রশাসন ও মন্দির কমিটি একটু সতর্ক হলে দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। কচুয়া ধামে দুর্ঘটনার পর এমনই তথ্য উঠে আসছে। রাজ্যের মন্ত্রী জ্যেতিপ্রিয় মল্লিকের দাবি, প্রশাসনের দেওয়া বিভিন্ন শর্ত মন্দির কমিটি মানেনি। সঠিকভাবে পূর্ব পরিকল্পনার অভাবের কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
উল্লেখ্য, লোকনাথ ব্রহ্মচারীর জন্মতিথি উপলক্ষে জন্মাষ্টমীতে বিশেষ পুজোয় প্রতিবারের মতো এবারও কচুয়া ধামে ভিড় জমিয়েছিলেন ভক্তরা ৷ পুজো ঘিরে মন্দিরে যখন ভক্তদের ঢল তখনই অত্যধিক চাপে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে পাঁচিল ৷ মন্দিরের মূল গৃহে প্রবেশের মুহূর্তে পাঁচিল ভেঙে যায়। পদপিষ্ট হয়ে আহত হন কমপক্ষে ৩৩ জন। সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা ৩, তবে অসমর্থিত সূত্রে খবর মৃত্যু হয়েছে আরও একজনের। আহতদের ধান্যকুড়িয়া, বসিরহাট, আরজি কর, এসএসকেএম, ন্যাশনাল মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। ইতিমধ্যেই মৃত, আহতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে দুর্ঘটনার পর নানা প্রশ্ন উঁকি দিয়েছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর এক -কর্মীর দাবি, গত বছরের তুলনায় এবার বেশি লোক এসেছিলেন। সেই তুলনায় ছিল না কর্মীর সংখ্যা। মাত্র ১০ জন কর্মী মোতায়েন ছিল বলে জানিয়েছেন ওই কর্মী। তিনি আরও জানান, মন্দিরে ঢেকার সংকীর্ণ রাস্তার জন্যও নানা সমস্যা হয়। তার উপর রাস্তার দু’ধারে অস্থায়ী দোকান বসানো হয়। তাতে রাস্তা আরও সংকীর্ণ হয়ে যায়।
এদিকে প্রশাসনের সঙ্গে মন্দির কমিটির যোগসূত্রে ফাঁক থাকার কারণেই এই দুর্ঘটনা বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি বলেন, যে শর্ত প্রশাসনের তরফ থেকে দেওয়া হয়েছিল তা মন্দির কমিটি মানেনি। প্রশাসনের সঙ্গে মন্দির কমিটির যোগসূত্রে ফাঁক ছিল। পাশাপাশি দুর্ঘটনায় কারও গাফিলতি প্রমাণ হলে দৃষ্টান্তমূলক শান্তি হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
Be the first to comment