মরশুমের সবচেয়ে শক্তিশালী কালবৈশাখীতে লন্ডভন্ড কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গ

১০০ কিমি বেগে বইলো ঝড়

Spread the love

মৌসুমীবায়ু প্রবেশের মুখে মরশুমের তীব্রতম কালবৈশাখীর সাক্ষী থাকল দক্ষিণবঙ্গ। শনিবার দুপুর থেকে বিকেলে ঝড় ও বৃষ্টির দাপটে কাহিল হল একের পর এক জেলা। তুমুল বৃষ্টিতে ক্ষণিকের জন্য লাটে ওঠে ইডেন গার্ডেন্সে টি টোয়েন্টি ক্রিকেটের প্লে অফের প্রস্তুতি।

আবহাওয়াবিদ রবীন্দ্র গোয়েঙ্কা জানিয়েছেন, এদিন কালবৈশাখীর ঝঞ্ঝা রেখা বিস্তৃত ছিল উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থেকে ওড়িশার বালেশ্বর পর্যন্ত। এদিনের হাওয়ার সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। স্থানভেদে ১৫ – ২০ মিমি বৃষ্টি হয়েছে এদিনের দুর্যোগে।

শনিবার দুপুরে ছোটনাগপুরের মালভূমির ওপর তৈরি হওয়া বজ্রগর্ভমেঘ ক্রমশ শক্তি সঞ্চয় করে এগোতে থাকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে। যার জেরে পুরুল্যা, বাঁকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাংশে তুমুল বৃষ্টি হয়। সঙ্গে কোথাও কোথাও তীব্র বেগে বইতে থাকে ঝোড়ো হাওয়া। এদিন পূর্ব বর্ধমানে ঝড়বৃষ্টিতে এক নাবালকের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।

আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, ইতিমধ্যে উত্তরপূর্ব ভারতে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রাকবর্ষার বৃষ্টি। সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গ ও লাগোয়া ছোটনাগপুরে সমুদ্র থেকে প্রবেশ করেছে প্রচুর আর্দ্র বাতাস। একই সঙ্গে তপ্ত হয়ে উঠেছে ছোটনাগপুরের মালভূমি। যার ফলে এদিন তৈরি হয়েছে শক্তিশালী বজ্রগর্ভ মেঘ।

এদিন বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ কলকাতায় শুরু হয় দুর্যোগ। কয়েকবার দমকা হাওয়া দিয়ে মুশলধারে নামে বৃষ্টি। মেঘের ঘনঘটায় বিকেলেই সন্ধ্যা নামে কলকাতায়। যার জেরে আলো জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে দেখা যায় চালকদের।

চলতি বছর মরশুমের শুরুর দিকে কালবৈশাখীর আকাল থাকলেও শেষ বেলায় নাগাড়ে ঝড়বৃষ্টি জলবায়ু পরিবর্তনের সংকেত কি না তা নিয়েও আলোচনা শুরু করেছেন অনেকে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*