সরকারি দপ্তরে ঢুকে কাশ্মীরি পণ্ডিত যুবককে খুন জঙ্গিদের, সুরক্ষার দাবিতে রাতভর প্রতিবাদ

Spread the love

বুদগামে সরকারি দপ্তরে বসে কাজ করছিলেন কাশ্মীরি পণ্ডিত যুবক। সে সময় দপ্তরে ঢুকে গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। ঘটনাস্থলেই মারা রাহুল ভাট। তার পরেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে উপত্যকার কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। সুরক্ষার দাবিতে রাতভর সড়ক অবরোধ করে রাখে। স্লোগান তোলে মোদি–শাহর বিরুদ্ধেও।

বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিক্ষোভে সামিল হয় কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। ট্রানজিট ক্যাম্প ছেড়ে পথে নামে। হাতে টর্চ জ্বেলে প্রতিবাদে সামিল হয়। দাবি একটাই, উপত্যকায় সুরক্ষা দিতে হবে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের। আর সেই দায় নিতে হবে কেন্দ্রকেই। এই নিয়ে ব্যর্থতার জন্য আঙুল তোলে মোদি সরকারের দিকে। উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহার বিরুদ্ধেও স্লোগান দেয় প্রতিবাদীরা। 
বদগাম জেলার চাদুরাতে তহশীলদারের দপ্তরে কাজ করতেন রাহুল ভাট। বৃহস্পতিবার সেখানে ঢুকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। তার পর পালায়। রাহুলকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। ২০১০ সালে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগের বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছিল। তার আওতায় গত ১০ বছর ধরে ওই চাকরি করছিলেন রাহুল। 

গত ছ’‌ মাসে উপত্যকায় এই নিয়ে তৃতীয় কাশ্মীরি পণ্ডিত খুন হলেন। জখম হয়েছেন আরও দু’‌ জন। তার পরেই ফের নয়ের দশকের স্মৃতি ফিরে এসেছে। যখন সন্ত্রাসের কারণে কাশ্মীরি পণ্ডিতরা ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়। গত অক্টোবর থেকে কাশ্মীরে ফের নাগরিক নিধন চলছে। ওই মাসে পাঁচ দিনে কাশ্মীরে খুন হন সাত দিন। তাঁদের মধ্যে এক জন কাশ্মীরি পণ্ডিত, এক জন শিখ, দু’‌ জন হিন্দু পরিযায়ী শ্রমিক। তার পরেই শেখপোরাতে নিজেদের ঘর ছেড়ে পালান বহু কাশ্মীরি পণ্ডিত। 

এবার রাহুল ভাটের মৃত্যু ফের কাশ্মীরি পণ্ডিতদের পুনর্বাসন নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল। কেন্দ্র বার বার পণ্ডিতদের ঘরে ফেরার আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু তাদের সুরক্ষা দিতে কি পারছে?‌ সেই প্রশ্ন রয়েই গেল।  

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*