কেনিয়ার ক্রিকেটে দুর্গতি

Spread the love

২০০৩ এ দক্ষিণ আফ্রিকায় ক্রিকেট বিশ্বকাপে সেমিফাইনালিস্ট ছিলো আফ্রিকার দেশ কেনিয়া। সেমিফাইনালে ভারতের কাছে পরাস্ত হয়েছিলো। সেই সময় দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া বা লড়াই দেওয়ার মতো কিছু ক্রিকেটারও ছিলো কেনিয়া ক্রিকেট দলে। বিশ্বকাপের পরে সেই দল ভারতের মত দলকেও পরাস্ত করেছিল খোদ ভারতের মাটিতে। স্টিফেন টিকালো, মরিস ওডুম্বের মত কিছু ক্রিকেটার ছিলো, যাঁরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও বেশ সুমন অর্জন করেছিলেন। এই কেনিয়ান টিম বাংলাদেশের থেকেও এগিয়ে ছিলো। এক সময় বাংলাদেশের ক্রিকেটের বড় প্রতিদ্বন্দ্বী মানা হতো কেনিয়াকে। কিন্তু সাম্প্রতিক ক্রিকেটে তাদের অবস্থা বেহাল। এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের অবস্থান কোথায় আর কেনিয়ান ক্রিকেটের অবস্থান কোথায়, তুলনা করলে কেনিয়ার ক্রিকেট দল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ধারেকাছেই আসবে না।
ক্রিকেটের এই লজ্জা আরও বাড়লো কেনিয়া। আইসিসির ডিভিশন থ্রি-তে নেমে গেলো তারা। তার সাথে গতকাল একযোগে পদত্যাগ করেন কেনিয়া জাতীয় দলের অধিনায়ক রাকেশ প্যাটেল, প্রধান কোচ টমাস ওদয়ো এবং দেশটির বোর্ড সভাপতি জ্যাকি জানমোহাম্মদ। কেনিয়ান ক্রিকেটের শীর্ষ তিন ব্যক্তির একযোগে পদত্যাগের ফলে তাদের সংকট আরও বাড়লো। ২০১৮ ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লীগ ডিভিশন-টু প্রতিযোগিতায় ছয় দলের মধ্যে ষষ্ঠ স্থান নিয়ে ডিভিশন থ্রিতে নেমে গেলো কেনিয়া। ২০১৮ বিশ্বকাপের কোয়ালিফায়ার রাউন্ডেই খেলতে পারছে না তারা। ছয় দলের প্রতিযোগিতায় পঞ্চমস্থান নির্ধারণী ম্যাচে কেনিয়া হারে ওমানের কাছে। ২০১৮ বিশ্বকাপের কোয়ালিফায়ারে খেলার সুযোগ পাচ্ছে ডিভিশন টু প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ও রানার্স আপ নেপাল। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান নিয়ে ডিভিশন টু-তে টিকে রইলো কানাডা ও নামিবিয়া। ওমান-কেনিয়া নেমে গেলো ডিভিশন থ্রি-তে। আগামী মাসে জিম্বাবোয়েতে শুরু হচ্ছে ১২ দলের বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ার আসর। এই ১২টি দলের মধ্যে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া ৪টি দল আছে। দল গুলি হলো – ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবোয়ে, আফগানিস্তান, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, নেপাল, হংকং, স্কটল্যান্ড, পাপুয়া নিউ গিনি, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*