ডাকাতির মামলায় জামিনে ছাড়া পেয়েছিল খালিদ মহম্মদ। কিন্তু জামিনে থাকাকালীনও অপরাধের প্রবণতা কমেনি। তবে এ বার ডাকাতি নয়। সটান খুনই করে বসল খালিদ। তাও আবার মাত্র ৫০০ টাকার জন্য।
পুলিশ জানিয়েছে, বছর চব্বিশের যুবক শাহরুখ খানকে ৫০০ টাকার জন্য কুপিয়ে খুন করেছে খালিদ মহম্মদ। দিল্লির কল্যাণপুরীতে ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতের। খুনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই খালিদ এবং তাঁর নাবালক ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, একটি বাসস্ট্যান্ডে বসে শহর ছেড়ে পালানোর পরিকল্পনা করছিল ওই দু’জন। সেই সময় তাদের পাকড়াও করা হয়েছে। আরেক অভিযুক্তকেও বুধবার গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে বুধবার ঈদের দিন মৃত যুবকের বিবাহবার্ষিকী ছিল।
কল্যাণপুরীর ২১ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা শাহরুখ খান পেশায় ছিলেন দর্জি। কয়েকদিন আগে ৫০০ টাকা দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা খালিদ মহম্মদের থেকে একটি মোবাইল ফোন কেনেন। কিন্তু কদিন পরেই জানতে পারেন ফোনটি চোরাই মাল। এরপর খালিদকে তিনি বলে তাঁর টাকা ফিরিয়ে দিতে। পুলিশ জানিয়েছে, টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে খালিদের সঙ্গে জোরদার বচসা হয় শাহরুখের। সেই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল খালিদের নাবালক ভাই এবং মুকেশ কুমার নামে খালিদের এক বন্ধু। পুলিশ জানিয়েছে, এই দুই ব্যক্তি আচমকাই চেপে ধরে শাহরুখকে। আর ছুরি বের করে প্রবল আক্রোশে শাহরুখের বুক এবং তলপেটে প্রায় বার আটেক কোপায় খালিদ। সাহায্যের জন্য চিৎকার শুরু করলে রক্তাক্ত অবস্থায় শাহরুখকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ওই তিনজন।
প্রতিবেশি এবং শাহরুখের পরিবারের দাবি, বাড়ির কাছেই একটি অন্ধকার জায়গায় খুন করা হয়েছে তাঁকে। ওই এলাকাতেই থাকতেন শাহরুখের বোন শাবনুর। চিৎকার শুনে ঘর থেকে বেড়িয়ে এসে তিনিই প্রথম দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে রয়েছে শাহরুখ। এরপর পুলিশকে খবর দেন শাবনুর। পুলিশ এসে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায় শাহরুখকে। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
Be the first to comment