মমতার নেতৃত্বে বাংলায় লড়ুক কংগ্রেস-সিপিএম, খাড়গেকে প্রস্তাব শরদ পাওয়ারের

Spread the love

রাজ্য রাজনীতিতে সাপে-নেউলে সম্পর্ক হলেও, জাতীয় ক্ষেত্রে লড়তে হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই মুখ। তাই বাংলায় সিপিএম-কংগ্রেসের উচিৎ মমতার নেতৃত্বে লড়াই করা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব মেনে নিতে বলুন প্রদেশ নেতৃত্বকে। প্রয়োজনে আমি পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে ব্যক্তিগতভাবে সিপিএম ও প্রদেশ কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবো। শুক্রবার এমন আর্জি নিয়েই রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার।

২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ইন্ডিয়া জোট। মোদিকে গদিচ্যুত করতে কোথাও কোনও খামতি রাখতে চাইছে না বিরোধী শিবির। বৃহস্পতিবার জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে শরদ পাওয়ার জানান, “একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দিতে হবে। তবেই বিজেপিকে পরাজিত করা সম্ভব। যেখানে জোট করে লড়াইয়ে সমস্যা রয়েছে সেই রাজ্যে আমি গিয়ে শরিকদের সঙ্গে আলোচনা করবো। যাতে গোটা দেশেই বিজেপির বিরুদ্ধে একজনই প্রার্থী থাকে।” এরপরই শুক্রবার রাহুল ও খাড়গের সঙ্গে দেখা করে বাংলায় ইন্ডিয়া জোটের রণকৌশল ব্যখ্যা করে পাওয়ার বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনপ্রিয়তা প্রশ্নাতীত। গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে তা প্রমাণিত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মমতার বিরুদ্ধে বাম ও কংগ্রেস লড়াই করলে মানুষের কাছে নেতিবাচক বার্তা যাবে। এটা হতে দেওয়া যাবে না। আমি রাজি আছি অধীর চৌধুরী ও সীতারাম ইয়েচুরিদের সঙ্গে কথা বলতে। যাতে মমতার নেতৃত্ব মেনে নিয়েই বাংলায় প্রার্থী দেয় বাম ও কংগ্রেস। বিধানসভায় কংগ্রেস ও সিপিএম মমতার বিরুদ্ধে লড়াই করলেও লোকসভায় একসঙ্গে লড়াই করুক। তাতে বিজেপি বিরোধী মানুষকে একজোট করা সম্ভব হবে।

শরদ পাওয়ারের এই প্রস্তাবে রাহুল গান্ধী ও মল্লিকার্জুন খাড়গে সম্মত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি দিল্লি, পাঞ্জাবে আপ ও কংগ্রেসের সংঘাত কাটিয়ে যাতে তারা এক হয়ে লড়াই করে সেজন্য সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেন পাওয়ার। উল্লেখ্য, পাঁচ রাজ্যের ভোট মিটলেই আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা শুরু করবেন বলে মরাঠা স্ট্রংম্যানকে আশ্বাস দেন কংগ্রেসের এই দুই দুই শীর্ষ নেতৃত্ব বলে জানা গিয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*