নারদ মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী তথা প্রাক্তন মেয়র ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। সেই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র, প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও। এরপর থেকেই জেলায় জেলায় বিক্ষোভ শুরু হয়। কোথাও রাস্তার উপর টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধও করা হয়।
উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতা একাধিক জায়গায় প্রতিবাদে নামেন তৃণমূল কর্মীরা। কালনার বৈদ্যপুর মোড়ে দলীয় কর্মীরা পথ অবরোধ করেন। সোমবার এই প্রতিবাদ কর্মসূচীতে ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও কালনার বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ। স্বপনবাবু বলেন, ‘এই ঘটনা পুরোটাই উদ্দেশ্যপ্রনোদিত। আমরা ব্যপক আন্দোলন গড়ে তুলব।’ টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয় বারুইপুরেও। গোসাবাতেও চলে তৃণমূলের বিক্ষোভ। শুভেন্দু অধিকারী ও মুকুল রায়কে গ্রেফতারের দাবিতে পথে নামেন বড়জোড়া তৃণমূল বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায়।
সোমবার সকালেই নারদ মামলায় চাঞ্চল্যকর মোড়। চার হেভিওয়েটকে গ্রেফতার করে CBI। সোমবার সকালে প্রথমে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে পৌঁছন CBI গোয়েন্দারা। বাড়ির বাইরে মোতায়েন করা হয় প্রচুর সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী। এরপরই তাঁকে বাইরে নিয়ে আসা হয়। তিনি নিজে জানান, নারদা কাণ্ডে তাঁকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। একইসঙ্গে নিজাম প্যালেসে CBI দফতরে নিয়ে আসা হয় বিধায়ক মদন মিত্র, প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও। নিয়ে আসা হয় রাজ্যের বর্ষীয়ান মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কেও। চারজনকে গ্রেফতার করা হয় CBI।
বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কোনওরকম অনুমতি নেওয়া হয়নি তাঁর থেকে। জানা গিয়েছে, আজই চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা থেকে CBI। এদিনই আদালতে তোলা হবে তাঁদের। আদালতে পেশ করে CBI চারজনকেই নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন জানাবে। ইতিমধ্যেই চারজনের আইনজীবী পৌঁছে গিয়েছেন নিজাম প্যালেস চত্বরে। পৌঁছেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ও।
Be the first to comment