বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল আগেই। দলছাড়া এক রকম পাকা হয়ে গিয়েছিল। সংবাদমাধ্যমে নিজে জানিয়েও দিয়েছিলেন ঘরে ফেরার কথা। তবে শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্ব সময় নিচ্ছিলেন। অবশেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্মতিতে তৃণমূলে ফিরলেন রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। তৃণমূল সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল, বুধবার বিকেল তিনটে নাগাদ কলকাতায় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করলেন তিনি। পরিকল্পনা মতোই কাজ হলো ৷ ঘাসফুল শিবিরে ফিরে এলেন কৃষ্ণ ৷
অনেক দিন ধরেই বেসুরো ছিলেন তিনি। একের পর এক দল বিরোধী মন্তব্য করতে শোনা যাচ্ছিল তাঁকে। এমনকি, ক্ষোভ উগরে দিচ্ছিলেন দলীয় নেতৃত্বদের বিরুদ্ধেও। দলের কর্মসূচিতেও যোগ দিচ্ছিলেন না তিনি। তারপরই সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ১ অক্টোবর বিজেপি ছেড়েছিলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক। বুধবার বিকেলেই তৃণমূলে ওয়াপসি হলো।
নির্বাচনে জেতার কয়েক মাসের মধ্যে বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর সঙ্গে সংঘাত শুরু হয় তাঁর। রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী ও বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকারের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, তুঘলকি আচরণ, ষড়যন্ত্র ও স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে গত ৫ সেপ্টেম্বর জেলায় দলের সমস্ত কর্মসূচি থেকে সরে দাঁড়ান কৃষ্ণ। এরপর বাবুল সুপ্রিয়র তৃণমূলে যোগদান ও সুকান্ত মজুমদারকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে বসানোকে কেন্দ্র করে দলের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সুর চড়ান কৃষ্ণ। সেই সময় থেকেই শোনা যাচ্ছিল, যেকোন সময় তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন তিনি। তা পিছোতে পিছোতে আজ বুধবার অবশেষে যোগদান করলেন তিনি।
বিধানসভা নির্বাচনের পর সবার প্রথম মুকুল রায়। তাঁর পিছু পিছু তৃণমূলের দিকে পা বাড়ান বাঁকুড়ায় বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ, বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস ও কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়। এবার সেই দলে নাম লেখালেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীও। এই মুহূর্তে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা কমতে কমতে ৭০-এ এসে দাঁড়াল ৷
Be the first to comment