২০১৪ সালে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে আত্মহত্যা চেষ্টা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। শুক্রবার MP, MLA আদালতে এই মামলার শুনানি হয়। এদিন তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হলেও শাস্তি দেওয়া হয়নি। এই মামলায় বিচারক মনোজ্যোতি ভট্টাচার্য জানান, কুণাল ঘোষকে দোষী সাব্যস্ত করা হল। তিনি আরও বলেন, “কুণাল ঘোষের আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল না। আত্মহত্যা কোনও সমস্যার সমাধান হতে পারে না।” বিচারকের কথা, “আপনি একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক। আপনার কাছে সমাজের প্রত্যাশা রয়েছে। আপনি আইনি পথে মামলা লড়ুন। কাজ চালান। কিন্তু, ভবিষ্যতে আত্মহত্যার চেষ্টা করবেন না”। বিচারকের কথায়, তিরস্কারই এক্ষেত্রে শাস্তি।
৩০৯ ধারায় এই মামলাটি দায়ের করা হয়। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে বা আর্থিক জরিমানাও করা যেতে পারে। কিন্তু, এক্ষেত্রে তাঁকে কোনও শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না। বিচারক স্পষ্ট জানান, অবসাদের ক্ষেত্রেও আত্মহত্যা সমাধানের পথ নয়। এদিন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের তীব্র সমালোচনা করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ১৩ নভেম্বর প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে ঘুমের ওষুধ খান কুণাল ঘোষ, অভিযোগ পুলিশের। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং চিকিৎসা করা হয়। সেই সময় বেআইনি অর্থ লগ্নি মামলায় জেলবন্দি ছিলেন কুণাল। ২০১৩ সালে বেআইনি অর্থ লগ্নি সংস্থা মামলায় তদন্তে নেমে গ্রেফতার করা হয়েছিল কুণাল ঘোষকে। সেই সময় তাঁকে রাখা হয়েছিল প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে। এই মামলায় সংশোধনাগারের রক্ষীদের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিন সরকার পক্ষের আইনজীবী গোপাল দাস জানান, কুণালের পেটে অনেকগুলি ঘুমের ওষুধ পাওয়া গিয়েছিল। কুণাল ঘোষের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, জেল কর্তৃপক্ষের তীব্র ভর্ৎসনা করা হয়েছে।
Be the first to comment