রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে কাজে যোগ দেওয়ার জন্য তলব করল কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’-এর ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে কলাইকুণ্ডা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী আর মুখ্যসচিবের অনুপস্থিতির কয়েকঘন্টা পরেই আলাপনবাবুকে দিল্লিতে ডেকে পাঠালো কেন্দ্র। এই ঘটনায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ রাজ্যের শাসক দল। তীব্র নিন্দা করে তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ জানিয়েছেন, “বিজেপি হার মেনে নিতে পারছে না। তাই এসব করছে। বাংলার সিস্টেমকে ভেঙে দিতে চাইছে ওরা। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করছে দল।”
মাত্র তিনমাসের কর্মজীবন থাকা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে কীভাবে দিল্লিতে ডাক দিল কেন্দ্রীয় সরকার, এই নিয়ে চরম বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বললেন, “এই ঘটনা সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। বাংলায় ভোটে হেরে গিয়ে প্রতিহিংসা পরায়নের নজির গড়ল নির্লজ্জ দল ভারতীয় জনতা পার্টি। রাজনীতি নয় এটা। এটা মানুষের সঙ্গে শত্রুতা। রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি আর ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’-এর ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে সেনাপতির ভূমিকায় কাজ করেছেন আলাপনবাবু। করোনা পরিস্থিতিতে টিকা নেই, ওষুধ নেই, অক্সিজেন নেই, তাও মানুষের জন্য লড়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিব। ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ নিয়েও জোরকদমে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রান পৌঁছনোর কাজ চলছে। এই সময়ে দাঁড়িয়ে মুখ্যসচিবকে দিল্লিতে ডেকে নিয়ে বাংলার সরকারের সিস্টেমটাকে ভেঙে দিতে চাইছে বিজেপি।”
শুক্রবার আলাপনবাবুকে চিঠি দিয়ে তাকে বদলির নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। চিঠিতে বলা হয়েছে, সোমবার ৩১ মে সকাল ১০টায় তাকে নয়াদিল্লির নর্থ ব্লকের কর্মিবর্গ ও প্রশিক্ষণ মন্ত্রকে হাজিরা দিতে হবে। এই নিয়ে ব্যাপক ক্ষুব্ধ কুনাল জানিয়েছেন, “মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিব, দুজনেরই ভ্রাতৃবিয়োগ হয়েছে কিছুদিন আগেই। তা সত্ত্বেও তারা রাজ্যের মানুষের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। এই অবস্থায় মুখ্যসচিবকে যেভাবে ডেকে পাঠানো হল তাতে প্রমাণ হয়, বিজেপি কতটা বাংলা বিরোধী। এই ঘটনা নোংরা রাজনীতির ইতিহাসে লেখা থাকবে। দিল্লির ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করা নেতৃত্বদের প্রত্যাখান করেছে বাংলার মানুষ। সেই হার ওরা মেনে নিতে পারছে না। তাই বিভিন্নভাবে বাংলার ক্ষতি করতে চাইছে।”
Be the first to comment