ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সামনেই দুই গোষ্ঠীর কাজিয়া তুঙ্গে। এগড়া বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক এবং কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি তরুণ কুমার মাইতির নাম ছিল না অনুষ্ঠানের কার্ডে। এই নিয়েই শুরু হয় তরজা।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ভগবানপুরে ভীমশ্বরী হাইস্কুলে বিজয়া সম্মেলনের আয়োজন করেন ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বরা। প্রায় পাঁচশর বেশি তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা বিজয়া সম্মেলনী উপস্থিত হন। উপস্থিত হন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি, চণ্ডীপুরে বিধায়ক তথা অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী, কাঁথি সাংগঠনিক জেলা যুব তৃনমূলের সভাপতি তথা কাঁথি পুরসভা উপপ্রধান সুপ্রকাশ গিরি প্রমুখেরা৷
মঞ্চে অখিল গিরির বক্তৃতার পর উপস্থিত হন কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তরুণ মাইতি। তিনি উপস্থিত হাওয়ার কিছুক্ষণ পরই তাঁর অনুগামীরা কুণাল ঘোষকে উদ্দেশ্য করে হাত নাড়িযে তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে থাকেন। এরপর কুণাল আসার আগেই বিক্ষোভে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। অনুষ্ঠান শেষ কুণাল-সোহমেরা বেরানোর সময় তাঁদের ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা! দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে বিক্ষোভ। নেতৃত্বরা শান্ত করার চেষ্টা করলেও প্রথমে তা সম্ভব হয়ে উঠেনি। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
বিক্ষোভকারী এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী বলেন, ‘এগরার বিধায়ক তথা কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তরুণ কুমার মাইতির নাম চেয়ারম্যান অভিজিৎ দাসের নিচে থাকবে কেন? জবাব চাই জবাব দিতে হবে৷’
যদিও এগরার বিধায়ক তথা কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তরুণ কুমার মাইতি বলেন, ‘এটাই প্রটোকল। প্রথমে জেলা চেয়ারম্যানের নাম থাকবে, তারপরে সভাপতির নাম থাকবে।’ বিক্ষোভ প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘যারা এসেছিলেন, পাশে ডেকে কথা বলেছি। সাংগঠনিক কমিটির কারণে এমন মান অভিমান। দুঃখ থাকতে পারে। এনিয়ে আমরা আলোচনায় বসব। কারোর মনে কোনও দুঃখ রাখব না।’ অপরদিকে মদন মিত্র বলেন, ‘সমুদ্রে যখন কোটালের বান আসে এক ঢেউ আরেক ঢেউকে ভাঙে। তৃণমূলে এখন বান এসেছে। তৃণমূলে এখন আর এই গান গাওয়া যাচ্ছে না “এবার তোর মরা গাঙে বান এসেছে” এখন তৃণমূলে গাইতে হবে “দে দে পাল তুলে দে।’
Be the first to comment