ঠিক মতো উঠতে বসতে তাঁর সমস্যা হচ্ছে। ভুগছেন কিডনির সমস্যাতেও। রক্তচাপ, সুগার লেভেল সবই বেড়েছে চড়চড় করে। শারীরিক অসুস্থতা রীতিমতো নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে তাঁকে। শনিবার প্রাক্তন আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবের অসুস্থতার কথা সামনে এনেছেন আরজেডি বিধায়ক রেখা দেবী।
রাঁচীর রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (রিমস)-এ চিকিৎসাধীন লালু। রেখা দেবী বলেছেন, “লালুজীর স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে। তিনি বসতে বা দাঁড়াতে পারছেন না। রক্তে শর্করার পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত। আমরা চাই সঠিক চিকিৎসার জন্য তাঁকে অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়া হোক।”
রিমস-এ লালুর চিকিৎসা করছেন উমেশ যাদব। সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, প্রাক্তন আরজে়ডি সুপ্রিমো একাধিক রোগে আক্রান্ত। তাঁর রক্তচাপ বেড়েছে, কিডনির সমস্যা দেখা দিয়েছে, হার্টের অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়। আগামী দু’তিন দিনের মধ্যে তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হলে অন্য কোথাও স্থানান্তরিত করতে হতে পারে।
চলতি বছর সেপ্টেম্বরেই পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির চতুর্থ মামলাতে লালুপ্রসাদকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল রাঁচীর বিশেষ সিবিআই আদালত। সেই সঙ্গে দু’টি ধারায় ৩০ লাখ করে মোট ৬০ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয় তাঁকে। এর আগেও একবার অসুস্থ হয়ে রিমস-এ ভর্তি হয়েছিলেন লালু। তখন রিমস-এর ডিরেক্টর আর কে শ্রীবাস্তব জানিয়েছিলেন, লালু গভীর মানসিক অবসাদে ভুগছেন।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়েই লালুর বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠে। দুমকা ট্রেজারি মামলায় গত ১৯ মার্চ লালুপ্রসাদ-সহ ১৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির তিনটি মামলাতে আগেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন লালু। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে তিনি বীরসা মুণ্ডা জেলে রয়েছেন। ২০১৩-য় চাঁইবাসা ট্রেজারি মামলায় অভিযুক্ত হন লালু। এই মামলায় পাঁচ বছরের জেল হয় তাঁর। দেওঘর ট্রেজারি মামলায় সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয় সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। সঙ্গে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়।
Be the first to comment