রোজদিন ডেস্ক :- যুগের অবসান। প্রয়াত আইইএম-ইউইএম গ্রুপের চ্যান্সেলর ও প্রতিষ্ঠাতা, প্রফেসর ড. সত্যজিৎ চক্রবর্তী। ইঞ্জিনিয়ারিং ও শিক্ষাক্ষেত্রের অন্যতম পথপ্রদর্শক তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রথম স্ব-অর্থায়িত (সেলফ ফিনান্সড) ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে ভারতের শিক্ষাক্ষেত্রে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনেন তিনি। বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ছেদ পড়ল তাঁর সেই যাত্রায়।
শিক্ষাবিদ হিসেবে যেমন পরিচিতি ছিল তাঁর, ছাত্রাবস্থাতেও তিনি ছিলেন তেমনই উজ্জ্বল এবং মেধাবী। এনআইটি দুর্গাপুর থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ বি.টেক ডিগ্রি এবং আইআইটি খড়গপুর থেকে এম.টেক ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন তিনি। এরপর বর্ধমান ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি শেষ করে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ করেন প্রফেসর সত্যজিৎ চক্রবর্তী।
শিল্প ও শিক্ষা দুই ক্ষেত্রেই তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবন সমানভাবে বিস্তৃত ছিল। সেইল (SAIL)-এ কাজ করার পাশাপাশি নিউ ইয়র্কের ব্রিটিশ আমেরিকা ইনভেস্টরস কর্পোরেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ভারতে বিশ্বমানের শিক্ষা প্রবর্তনে অগ্রণী ভূমিকা নিয়ে ১৯৮৯ সালে সত্যজিৎ চক্রবর্তী প্রতিষ্ঠা করেন আইইএম-ইউইএম গ্রুপ। তাঁর নেতৃত্বে ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (আইইএম) এবং ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (ইউইএম) সাফল্যের শিখরে পৌঁছায়। উঠে আসে উদ্ভাবন এবং ঐতিহ্যবাহী মূল্যবোধের এক অনন্য সংমিশ্রণ। একজন বিশিষ্ট গবেষক হিসেবে শিক্ষাক্ষেত্র ও প্রযুক্তিতে অবদানের জন্য তিনি আইইটিই স্বর্ণ পদক এবং এডুপ্রেনার উপাধি সহ বিভিন্ন মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার অর্জন করেছেন।
ড. সত্যজিৎ চক্রবর্তীর হাত ধরে গড়ে ওঠা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি তাঁর ধারক হয়ে থাকবে, সৃষ্টি করবে ইতিহাস, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে উদ্ভাবন, প্রযুক্তি, জ্ঞান ও মানবিকতার পথে অনুপ্রাণিত করবে।
Be the first to comment