রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের তৃণমূল ও বিজড়পি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, সন্ত্রাস চলছে বহু জায়জায়। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সব দেখেও নীরব রয়েছে। শনিবার প্রথম দফা নির্বাচনের প্রথম পাঁচ ঘন্টার মধ্যেই এই অভিযোগ করলেন কংগ্রেস ও সিপিএম নেতারা। বাম, কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্য, নির্বাচন কমিশন যতটা গর্জেছিলো ততটা বর্ষালো না। প্রসঙ্গত প্রথম দফার ৩০টি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচনের জন্য ৭৩০ কোম্পানি সেনা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তার পরও বিরোধীদের তরফে সন্ত্রাসের অভিযোগ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত প্রথম দফা নির্বাচনের আগের রাতে অর্থাৎ শুক্রবার রাতেই বান্দোয়ানে ভোট কর্মীদের বুথে নামিয়ে ফেরার সময় একটি গাড়িতে রাসায়নিক নিক্ষেপ করে অগ্নিসংযোজ করা হয়। এ ছাড়াও শালবনি বিধানসভা কেন্দ্রের ১৪২ ও ১৪৩ নম্বর বুথে নিগ্রহ করা হয়। এই অভিযোগ করেছেন স্বয়ং শালবনির সিপিএম প্রার্থী সুশান্ত ঘোষ।
এদিন সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রবীন দেব বলেন, “কমিশন কোথাও তৃণমূল কোথাও বিজেপিকে সুবিধা করে দিচ্ছে। বলরামপুরে ও খেজুরিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপিকে সহায়তা করেছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে এই অভিযোগ জানিয়েছি।”
এদিকে কংগ্রেস নেতা ও রাজ্য সভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য প্রথম দফা নির্বাচনের পাঁচ ঘন্টা পরই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “নির্বাচন কমিশন যত জর্জেছিলো ততটা বর্ষালো না। বিভিন্ন জায়গায় হাঙ্গামা হচ্ছে, সুশান্ত ঘোষের গাড়ি ভাঙা হচ্ছে, ইভিএম মেশিন খারাপ হচ্ছে, নানান রকমের অভিযোগ আসছে। কমিশনের শুধুই গর্জন হলো। আমি নির্বাচন মুখ্য কমিশনারের কাছে অনুরোধ করছি বাংলার নির্বাচনে চূড়ান্ত নিয়ম লঙ্ঘন হচ্ছে। রাজ্যের পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী একযোগে আইন রক্ষার বদলে সন্ত্রাসে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে আবেদন করছি অবিলম্বে জেলার পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সক্রিয় হতে নির্দেশ দিন।”
Be the first to comment