দ্রৌপদী মুর্মুর মনোনয়ন মঞ্চে বাংলার প্রতিনিধি লকেট

Spread the love

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর মনোনয়ন পেশের মঞ্চে বঙ্গ বিজেপির একমাত্র প্রতিনিধি লকেট চট্টোপাধ্যায়। আগে থেকেই ঠিক ছিল দ্রৌপদী মুর্মুর মনোনয়ন দাখিল প্রক্রিয়াকে শক্তি প্রদর্শনের মঞ্চ হিসাবে তুলে ধরবে বিজেপি (BJP)। সেইমতোই বিভিন্ন রাজ্যের সাংসদ এবং মুখ্যমন্ত্রীদের দিল্লিতে তলব করা হয়েছিল। এই তালিকায় বাংলা থেকে ডাক পেয়েছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়-সহ চারজন। দ্রৌপদী মুর্মুর প্রথম ৫০ জন প্রস্তাবকের তালিকাতেও নাম ছিল শুধু লকেটের। বাংলার চার প্রতিনিধির মধ্যে হাজির ছিলেন একমাত্র তিনিই।

পূর্ব পরিকল্পনা মতো শুক্রবার তিথি নক্ষত্র মেনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সরকার পক্ষের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পত্র পেশ করেছেন দ্রৌপদী মুর্মু। হিন্দি পঞ্জিকা মেনে ‘অভিজিৎ মুহূর্তে’ প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা।

কোনও রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীকে মনোনয়ন জমা দিতে হলে তাঁর পক্ষে মোট ১০০ জন প্রস্তাবক প্রয়োজন হয়। প্রথম প্রস্তাবক হন ৫০ জন। আর ৫০ জন হন দ্বিতীয় প্রস্তাবক। মুর্মুর প্রথম প্রস্তাবকের তালিকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম ছিল সর্বাগ্রে। তবে, ওই একই তালিকায় নাম ছিল লকেটেরও। বাংলা থেকে ছিলেন আরও তিন প্রস্তাবক। তাঁরা হলেন সাংসদ কুণাল হেমব্রম, বিধায়ক জুয়েল মুর্মু, বুধিরাই টুডু। যদিও লকেট ছাড়া বাংলা থেকে এদিন আর কেউ উপস্থিত ছিলেন না। বাংলার প্রথম সারির সাংসদ-বিধায়ককে বাদ দিয়ে যেভাবে লকেটকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব গুরুত্ব দিল, তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। 

বস্তুত, সম্প্রতি বঙ্গ বিজেপির ক্ষমতাসীন নেতাদের সঙ্গে সম্প্রতি লকেটের দূরত্ব বেশ ভালমতো চোখে পড়ছে। দলের প্রথম সারির নেত্রী হওয়া সত্ত্বেও রাজ্য নেতৃত্বের ডাকা কোনও কর্মসূচিতেই তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় না লকেটকে। যদিও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বরাবরই লকেটকে বাড়তি গুরুত্ব দেয়। সদ্য সমাপ্ত উত্তরাখণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্বেও ছিলেন লকেট। এবার রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়নের অনুষ্ঠানেও লকেটকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হল।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*