মায়ের পেটে বড় হচ্ছিল যমজ ভ্রূণ। হঠাৎই জানা গেল, গর্ভস্থ একটি শিশুর শরীরে হার্টই নেই! তার শরীরে রক্ত ও পুষ্টি জোগান দিতে গিয়ে বিপন্ন হচ্ছে সুস্থ ভ্রূণটিও। এই পরিস্থিতিতে মা ও সুস্থ ভ্রূণটিকে বাঁচাতে এক জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রোপচার করলেন লখনউয়ের সঞ্জয় গান্ধী ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস-এর চিকিৎসকেরা। প্রাণে বাঁচলেন প্রসূতি। দু’মাস পরে তিনি জন্ম দিলেন সুস্থ একটি শিশুর।
ডাক্তারি পরিভাষায় এই ধরনের জটিলতার নাম ‘অ্যাকার্ডিয়াক টুইন।’ গত জুন মাসে শারীরিক সমস্যা নিয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি হন অঙ্কিতা পাণ্ডে। পরীক্ষানিরীক্ষার পরে ডাক্তারেরা দেখেন, একটি ভ্রূণের শরীরে হৃদপিণ্ড তৈরিই হয়নি। ফলে, সুস্থ ভ্রূণটির শরীর থেকে রক্ত ও পুষ্টি টেনে নিচ্ছে অপরিণত ভ্রূণটি। চিকিৎসকেরা বোঝেন, তখনই রক্ত সঞ্চালনের ত্রুটি ঠিক না করা হলে সুস্থ শিশুটি হার্ট ফেলিওর হয়ে মারা যাবে। ফলে যমজ ভ্রূণের একটিকেই সুস্থ ভাবে বাঁচানোর সিদ্ধান্ত নিতে হয় ডাক্তারদের। তাই তাঁরা একটি কঠিন অপারেশন করার সিদ্ধান্তই নেন। স্ত্রীরোগ বিভাগের ডঃ মন্দাকিনী প্রধানের নেতৃত্বে অস্ত্রোপচার করেন। মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থায় ওই দুই ভ্রূণের উপর করা হয় অপারেশন। যে টিস্য়ুর মাধ্যমে অপরিণত ভ্রূণের শরীরে রক্ত যাচ্ছিল, সেটিকে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ফলে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
ডাক্তারেরা জানিয়েছেন, ভারতে প্রতি ৩-৪ লক্ষ প্রেগন্যান্সিতে একটি করে এই ধরনের জটিলতা হয়। তবে, এই অস্ত্রোপচারের মাস দুয়েক পরেই একটি সুস্থ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন অঙ্কিতা।
Be the first to comment