মুকুল রায়কে পিএসি চেয়ারম্যান করায় ক্ষুব্ধ বিজেপি। আর সেই কারণেই বিধানসভার ৪১ টি কমিটির মধ্যে কোনও কমিটিতেই কোনও বিজেপি বিধায়ক চেয়াম্যান থাকবেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন। এরপর ৮ কমিটির ৮ বিধায়ক চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফাও দেন। কিন্তু কোনও কমিটির চেয়ারম্যানের আসন তো খালি রাখা যায় না। আর সেই কারনেই শুক্রবার তৃণমূল বিধায়কদের দিয়েই সেই কুর্সি ভরাট করলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে মদন মিত্রকে। অপর কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছেন প্রাক্তন আইপিএস হুমায়ুন কবীরকে।
স্ট্যান্ডিং কমিটির এই রদবদলের জেরে বিধানসভার নানা বিষয়ক ৪১ টি কমিটির মধ্যে ৪০ টি কমিটির চেয়ারম্যানই হলেন তৃণমূলের বিধায়কেরা। অবশিষ্ট মাত্র একটি কমিটি, অর্থাৎ বিধায়ক উন্নয়ন তহবিল কমিটির চেয়ারম্যান পদপ্রাপ্তি হয়েছে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। রাজ্য বিধানসভায় ইতিপূর্বে কবে কার্যত সব কমিটির চেয়ারম্যানই একটি দল থেকে হয়েছেন তা মনে করতে পারছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সূত্রের খবর, আগামী ২৬ জুলাই থেকে বিধানসভার ৪১ টি কমিটির বৈঠক শুরু হবে।
অন্যদিকে, যে ৮ কমিটি থেকে বিজেপি বিধায়করা পদত্যাগ করেছেন, সেখানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানদের নাম ঘোষণা করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ৮ জনের তালিকায় সেই অর্থে চমক রয়েছে দু’টি নামে। প্রথমজন হলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। দ্বিতীয়জন ডেবরার বিধায়ক তথা প্রাক্তন পুলিশকর্তা হুমায়ুন কবীর।
বিধানসভা সূত্রে খবর, লেবার কমিটিতে মনোজ টিগ্গার জায়গায় চেয়ারম্যান হলেন মদন মিত্র।
এস্টিমেটস কমিটিতে মিহির গোস্বামীর জায়গায় চেয়ারম্যান হলেন সুদীপ্ত রায়।
কমিটি অন পেপার লে-তে আনন্দময় বমর্ণের জায়গায় চেয়ারম্যান হলেন হুমায়ুন কবীর।
সাব অর্ডিনেট লেজিশলেশনে অশোক কীর্তনিয়ার পরিবর্তে চেয়ারম্যান হলেন পান্নালাল হালদার।
কমিটি অন পাওয়ার-এ কৃষ্ণ কল্যাণীর জায়গায় চেয়ারম্যান হলেন আব্দুল খালেক মোল্লা।
কমিটি অন ফিশারিস ডিপার্টমেন্টে নিখিল রঞ্জন দে-র জায়গায় চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলাবেন রুকবানুর রহমান।
পাবলিক ওয়ার্কস কমিটিতে বিষ্ণু শর্মার জায়গায় চেয়ারম্যান হলেন তপন দাশগুপ্ত।
কমিটি অন টেকনোলজিতে দীপক বর্মন জায়গায় চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিলেন অশোক চট্টোপাধ্যায়।
এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘ওনাদের অনুরোধ করছি, বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য। পদত্যাগ না করতে আমরা অনুরোধ করেছিলাম। তারপরেও ওঁরা শোনেননি। আমি আবারও অনুরোধ করব প্রত্যাহারের জন্য। ওঁরা যখন কমিটির সদস্য থাকতে পারেন, তখন চেয়ারম্যান থাকতে কী অসুবিধা, বুঝলাম না। ২৬ জুলাই থেকে কমিটির বৈঠক শুরু হবে।’
Be the first to comment