মহারাষ্ট্রে শিবসেনার বিবদমান দুই গোষ্ঠীর একাধিক মামলার শুনানি হবে বুধবার সুপ্রিম কোর্টে। প্রধান বিচারপতি এন ভি রমনার ডিভিশন বেঞ্চে ওই সব মামলার শুনানি হওয়ার কথা। উদ্ধব ঠাকরে এবং একনাথ শিন্ডে, দুই শিবিরই নিজেদের আসল শিবসেনা বলে দাবি করেছে। উভয় শিবির বিদ্রোহী শিবিরের বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজের দাবি জানিয়েছে দলত্যাগ বিরোধী আইনে।
উদ্ধব ঠাকরের অনুগামীরা বলছেন, শীর্ষ আদালতে বিধায়ক পদ বাতিলের মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের শিন্ডে সরকারের কোনও বৈধতা নেই। পাল্টা শিন্ডে শিবিরের দাবি, বিধায়কদের অধিকাংশই তাদের দিকে আছেন। ফলে তারাই আসল শিবসেনা। দুই পক্ষই তাকিয়ে রয়েছে বুধবারের রায়ের দিকে।
এরই মধ্যে উদ্ধব শিবিরের অন্যতম নেতা এবং সংসদ সঞ্জয় রাউত রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলেছেন। তাঁর মতে, সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের রায় না হওয়া পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি শাসন জারি থাকা উচিত।
গত ৩০ জুন মহা বিকাশ আগাড়ি সরকার ভেঙে যাওযার পর কেবল দুজন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। একনাথ মুখ্যমন্ত্রী এবং দেবেন্দ্র ফরণবিস যথাক্রমে মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন। প্রায় এক মাস হতে চলল। আর কেউ এখন পর্যন্ত শপথ নেননি। তাকেও কটাক্ষ করে রবিবার সঞ্জয় রাউত বলেন, মাত্র আড়াই লক্ষ জনসংখ্যার বার্বাডোজেও ২৭ জন মন্ত্রী। অথচ তাকিয়ে দেখুন, ১২ কোটি জনসংখ্যার মহারাষ্ট্রে মন্ত্রী মাত্র দুজন। এও সম্ভব?
শিন্ডে শিবিরের দাবি, সোমবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন মিটলেই বাকিরা মন্ত্রী হবেন। অযথা এটা নিয়ে জল ঘোলা করা হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্ট আগেই জানিয়েছে, বিধানসভার নতুন স্পিকার বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজের ব্যাপারে আপাতত কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। যদিও বিধানসভার সচিব রাজেন্দ্র ভগবত দুই শিবিরের ৫৩ জন বিধায়ককে শো কজ নোটিস পাঠিয়েছেন। তার মধ্যে ৪০ জন শিন্ডেপন্থী আর ১৩ জন উদ্ধবপন্থী। উদ্ধব শিবির বিধানসভার নতুন স্পিকার নির্বাচনের বৈধতাও চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছে। তারও শুনানি বুধবার। সব মিলিয়ে মহারাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নির্ভর করছে বুধবারের রায়ের উপর।
Be the first to comment